এবারও হতাশাজকভাবেই বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হল উরুগুয়ের। কাতারে গ্রুপ থেকেই বিদায় নিতে হল লাতিন আমেরিকার দলটিকে। খালি হাতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেন লুই সুয়ারেজ।
বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই কি পেনাল্টি নষ্ট করতে হবে ঘানাকে? ২০১০ সালের পর ২০২২, ফের একই ঘটনা দেখা গেল। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আসামোয়া গিয়ান। এবার পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেন না আন্দ্রে আয়িউ। তিনি ম্যাচের ২১ মিনিটে পেনাল্টি নষ্ট করেন। এরপর ২-০ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় উরুগুয়ে। কিন্তু এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া ২-১ গোলে পর্তুগালকে হারিয়ে দেওয়ায় গ্রুপ থেকেই বিদায় নিতে হল উরুগুয়েকে। এটাই বিশ্বকাপে লুই সুয়ারেজের শেষ ম্যাচে হয়ে গেল। ২০১০ সালে ঘানার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে লাল কার্ড দেখতে হয় সুয়ারেজকে। কিন্তু তাঁর দল সেদিন টাইব্রেকারে জিতে যায়। এদিন কিন্তু রিজার্ভে বেঞ্চে বসে দলের বিদায় দেখতে হল এই তারকা স্ট্রাইকারকে। ৬৬ মিনিটে সুয়ারেজের বদলে মাঠে নামেন এডিনসন কাভানি। ফলে রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই ম্যাচের শেষটুকু দেখলেন সুয়ারেজ।
মাঠের বাইরে বসে দক্ষিণ কোরিয়া-পর্তুগাল ম্যাচের দিকে নজর রাখছিলেন সুয়ারেজ। ম্যাচ যতক্ষণ ১-১ ছিল, ততক্ষণ এই স্ট্রাইকারের মুখে হাসি ছিল। কিন্তু ম্যাচের শেষদিকে দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় গোল করার পরেই হতাশায় জার্সি দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন সুয়ারেজ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তিনি হতাশায় কেঁদে ফেলেন।
নক-আউটে যেতে হলে এই ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হত উরুগুয়েকে। সেই লক্ষ্যে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপান সুয়ারেজরা। ২৬ মিনিটে প্রথম গোল করে উরুগুয়েকে এগিয়ে দেন জিওর্জিয়ান ডে অ্যারাসকেতা। তিনিই ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান। কিন্তু এরপর আর এই ম্যাচে কোনও দল গোল করতে পারেনি। শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর অনেক চেষ্টা করে উরুগুয়ে। কিন্তু ঘানার ডিফেন্ডাররা আর গোল খাননি।
গত ৪ বিশ্বকাপের মধ্যে এই প্রথম নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না উরুগুয়ে। গত ৪ বিশ্বকাপের মধ্যে এই প্রথম গ্রুপে মাত্র ১ ম্যাচে জয় পেল উরুগুয়ে। বিশ্বকাপে আফ্রিকার দলগুলির বিরুদ্ধে গত ৫ ম্যাচেই অপরাজিত থাকল উরুগুয়ে। কিন্তু ঘানাকে হারিয়েও এদিন কোনও লাভ হল না সুয়ারেজদের।
১৯৫০ সালের পর আর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি উরুগুয়ে। সুয়ারেজকেও এই প্রতিযোগিতা থেকে খালি হাতেই বিদায় নিতে হল। অন্যদিকে, এই গ্রুপ থেকে নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণ কোরিয়া। অপ্রত্যাশিত সাফল্য পেল এশিয়ার দলটি।
আরও পড়ুন-
জাপানের পর দক্ষিণ কোরিয়া, বিশ্বকাপের নক-আউটে পৌঁছে গেল এশিয়ার আরও একটি দল
জাপানের দ্বিতীয় গোলের আগেই গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল বল? ভি এ আর নিয়ে প্রশ্ন লুইস এনরিকের
গ্রুপের শীর্ষে থেকে নক-আউটের লড়াইয়ে, এশিয়ার ফুটবলের মান বাড়াল জাপান