আর জি কর (RG KAR) কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন একাধিক মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান সমর্থক। কিন্তু ‘তিলোত্তমা’-র বিচারের দাবিতে সেই মিছিলে নেমে এল পুলিশের লাঠি। আর এইমুহূর্তে সামনে আসছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য।
আর জি কর (RG KAR) কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন একাধিক মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান সমর্থক। কিন্তু ‘তিলোত্তমা’-র বিচারের দাবিতে সেই মিছিলে নেমে এল পুলিশের লাঠি। আর এইমুহূর্তে সামনে আসছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য।
কার্যত, ডার্বি বাতিল এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রাতের অন্ধকারে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে বিচার চাইতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন বহু মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। সাঁতরাগাছি থানা সহ একাধিক থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে রাতভর পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের।
তারই জেরে এবার জরুরি জনস্বার্থ মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। দুপুর দুটোয় এই মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কারণ, রবিবার থেকে খোঁজ নেই একাধিক মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের। পুলিশও কোনও খোঁজ দিতে পারছে না।
আরও পড়ুনঃ
যাদবপুরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের হাতে রাখি বেঁধে দিলেন মোহনবাগান সমর্থক, অভিনব প্রতিবাদ রাজপথে
তাই জরুরি মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার জনস্বার্থ মামলার অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, রবিবার, অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট। যেদিন কলকাতা ডার্বি হওয়ার কথা ছিল, ঠিক সেদিনই পথে নামার ডাক দেন দুই প্রধানের সমর্থকরা। আর এই প্রতিবাদে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যোগ দেন মহামেডান সমর্থকরাও। এদিন বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ৫ নম্বর, অর্থাৎ ভিআইপি গেট থেকে বিকেল ৫ টায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন তারা।
কিন্তু সেই প্রতিবাদের উপর নেমে আসে পুলিশের নির্মম আক্রমণ। লাঠিচার্জ করা হয় দুই দলের সমর্থকদের উপর। র্যাফও লাঠি চালাতে শুরু করে। কার্যত, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান সমর্থকদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। বলা চলে, ফুটবলপ্রেমী জনতা আক্রান্ত হন এদিন। নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন ঘটনা।
আরও পড়ুনঃ
টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে, চলল লাঠি! ফুটবলপ্রেমী জনতা বলল, 'তিলোত্তমা’-র বিচার চাই
একেবারে কর্মসূচি শুরুর আগেই ৫ জনকে আটক করা হয়। অপরদিকে রবিবার, বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঐ এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করে দেয় প্রশাসন। আর এরপর সারারাত ধরে চলতে থাকে ধরপাকড় এবং গ্রেফতার। কিন্তু বিচার চাইতে গিয়ে ফুটবলপ্রেমী জনতাকে কেন হেনস্থার শিকার হতে হবে? তাই এবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।