করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে ইতিমধ্যেই এক বছর পিছিয়ে গিয়েথে টোকিও অলিম্পিক। আগামী বছর সুষ্ঠুভাবে অলিম্পিক আয়োজনের আশ্বাসও দিয়েছে আইওসি ও জাাপান। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে যেভাবে কোভিড -১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় বাড়ছে, তাতে আগামী বছরও অলিম্পিক আয়োজন নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষেজ্ঞরা। কারণ বিশ্ব জুড়ে অ্যাথলিট ও দর্শকরা এক জায়গায় জড়ো হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে অলিম্পিক আয়োজন করতে গেলে একমাত্র উপায় প্রতিষেধক আবিষ্কার। তা না হলে আগামী বছরও টোকিয়োয় অলিম্পিক্স বা প্যারালিম্পিক্স হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্বের প্রথম সারির স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুনঃআগস্টের শেষদিকে হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল
বিশ্বের প্রথমসারীর বিজ্ঞানী তথা এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্লোবাল হেলথ’ বিভাগের প্রধান দেবী শ্রীধর জানিয়েছেন, ‘সব কিছুই নির্ভর করবে সস্তার প্রতিষেধক আবিষ্কার হল কি না, তার উপরে। আমরা বিজ্ঞানীদের মুখে শুনছি, আগামী কিছু দিনের মধ্যে প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে যেতেও পারে। তবু মনে হয়, তার জন্য এক থেকে দেড় বছর সময় লেগে যাবে। যদিও অনেকে বলছেন, সে দিন নাকি খুব দূরে নয়। সেটা হলে অবশ্যই ভাল এবং সে ক্ষেত্রে পরের বছর টোকিয়োয় অলিম্পিক্স করার ভাবনা অবাস্তব কিছু নয়। তবে সেই প্রতিষেধক বা ওষুধের দামও যেন সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে। আর তা সহজলভ্যও হতে হবে।কিন্তু প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলে পরের বছরও অলিম্পিক্স হওয়া নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে।’
আরও পড়ুনঃসব জল্পনার অবসান, মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করল ফেডারেশন
আরও পড়ুনঃ'টিম মাস্ক ফোর্স',করোনার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়তে নয়া দল,যোগ দিতে পারেন আপনিও
একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইওসির এক কর্তা জন কোটস। অতিমারির দাপট পরের বছরের ক্রীড়াসূচিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁর দাবি, সব চেয়ে বড় সমস্যাটা দাঁড়াবে দর্শকসমাবেশ ও অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে। প্রতিষেধক আবিষ্কারই একমাত্র পথ বলে জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে টোকিয়ো অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মোরি জানিয়েছেন,জাপান করোনা মোকাবিলায় নতু টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। তারফলে আগামী বছর অলিম্পিক আয়োজনের পথ প্রশস্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলে আগামী বছরও অলিম্পিক আয়োজনে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।