মে মাসে মহাদেশীয় কোটায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রণতি। তারপরই অলিম্পিক্সে যাওয়ার সুযোগ পান তিনি। অলিম্পিক্সের জন্য মাত্র দু'মাস অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলেন।
টোকিও অলিম্পিকে মহিলাদের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিভাগের ফাইনাল রাউন্ডে উঠতে পারলেন না বাংলার প্রণতি নায়েক। রবিবার সকালে এই বিভাগের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু, সেখানেই দ্বাদশ স্থানে শেষ করলেন যাত্রা। অলরাউন্ড পর্বে তাঁর স্কোর ৪২.৫৬৫। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়েছেন ভল্টে। তাঁর স্কোর ১৩.৪৬৬। পাশাপাশি ফ্লোরে পেয়েছেন ১০.৬৩৩, আনইভেন বারে ৯.০৩৩ এবং ব্যালান্স বিমে ৯.৪৩৩ পয়েন্ট।
মে মাসে মহাদেশীয় কোটায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রণতি। তারপরই অলিম্পিক্সে যাওয়ার সুযোগ পান তিনি। অলিম্পিক্সের জন্য মাত্র দু'মাস অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলেন। সে সময় কোচ লক্ষ্ণণ শর্মার কাছে অনুশীলন করছিলেন তিনি। যদিও ঠিক মতো অনুশীলনের সময় পাননি। তার প্রথম কারণ হল করোনা। করোনার জন্য দীর্ঘদিন অনুশীলন থেকে দূরে ছিলেন। তবে সেই সময় রীতিমতো কসরত করছিলেন। কিন্তু, জিমন্যাস্টিক্স ভালো করার মতো কোনও অনুশীল তিনি করতে পারেননি। এরপর অলিম্পিক্স খুব কাছাকাছি এসে পড়ায় চোটের ভয় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কোনও অনুশীল করেননি। এভাবেই পাড়ি দিয়েছিলেন অলিম্পিক্সের উদ্দেশ্যে। আর সেখানে দ্বাদশ স্থানেই থামল তাঁর যাত্রা। ফাইনাল রাউন্ডে আর উঠতে পারলেন না।
অলিম্পিক্সের দরজা খুলে গেলেও ভালো ফল করতে পারলেন না প্রণতি। করোনার জেরেই স্বপ্নপূরণ করতে ব্যর্থ হলেন তিনি। করোনা থাবা না বসালে আরও বেশি অনুশীলনের সময় পেতেন। কিন্তু, তা আর সম্ভব হয়নি। তবে নিজের লড়াইয়ে কোনও খামতি রাখেননি। মাত্র ২ মাসের অনুশীলনে যেটুকু শিখেছেন তার পুরোটাই অলিম্পিক্সে উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। তারপরও দ্বাদশ স্থান থেকেই তাঁকে বিদায় নিতে হল অলিম্পিক্স থেকে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ রিও অলিম্পিকে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের। তবে পদক না জিতলেও ক্রিড়ামহলে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন তিনি। রিও অলিম্পিকে প্রোদুনোভা ভল্ট সফলভাবে অবতরণ করে গোটা জিমন্যাস্টিক বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন। এবার অনেকেই ভেবেছিলেন টোকিও অলিম্পিকে হয়তো দেখা যাবে তাঁকে। একাধিকবার চোটের কারণে অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ তিনি পাননি। তাঁর পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল প্রণতিকে। কিন্তু, তিনিও আশা পূরণ করতে পারলেন না।