ভারতের বিভিন্ন শহরে পেশাদার ও অপেশাদার ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। ম্যারাথন ঘিরে বহু মানুষের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। তবে চণ্ডীগড়ের ম্যারাথনের মেজাজ ছিল আলাদা।
রবিবার হয়ে গেল প্রথম আন্ডার আর্মার চণ্ডীগড় ফাস্ট ম্যারাথন। এই ম্যারাথন ঘিরে চণ্ডীগড়ের মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। প্রতিযোগীদের মধ্যেও তীব্র উত্তেজনা দেখা যায়। কোনও অপেশাদার অ্যাথলিট এই ম্যারাথনে যোগ দেননি। সব প্রতিযোগীই পেশাদার ও যোগ্য। এই কারণে প্রতিযোগিতার মান ছিল যথেষ্ট ভালো। প্রত্যেকেই ভালো পারফরম্যান্সের উপর জোর দেন। যত দ্রুত সম্ভব দৌড় শেষ করার চেষ্টা করেন অ্যাথলিটরা। চণ্ডীগড়ে এই ম্যারাথন ওয়ার্ল্ড ম্যারাথন মেজরসের যোগ্যতা অর্জন করার মঞ্চ। সেই কারণে এই ম্যারাথন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা ভারতের ১৮টি শহরের অ্যাথলিটরা চণ্ডীগড়ের এই ম্যারাথনে যোগ দেন। প্রত্যেকেই ভালো পারফরম্যান্সের চেষ্টা করেন।
প্রথমবারেই জমজমাট চণ্ডীগড়ের ম্যারাথন
চণ্ডীগড়ের এই ম্যারাথনে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতামান ছিল। যোগ্যতা ছাড়া কোনও অ্যাথলিটকে এই ম্যারাথনে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। অতীতে দূরপাল্লার দৌড়ে ভালো পারফরম্যান্সের প্রমাণপত্র ও নথি দেখিয়ে তারপরেই ম্যারাথনে যোগ দেওয়ার অনুমতি পান অ্যাথলিটরা। ফলে এই ম্যারাথনে দুর্দান্ত লড়াই হয়। প্রত্যেক অ্যাথলিটই নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেখানোর চেষ্টা করেন।
চণ্ডীগড়ের আকর্ষণ হয়ে ওঠে ম্যারাথন
এই ম্যারাথনের সাক্ষী থাকতে চণ্ডীগড়ে পৌঁছে যান অনেক পর্যটক। বিভিন্ন শহর থেকে ক্রীড়াপ্রেমীরা চণ্ডীগড়ে ভিড় জমান। সবাই চণ্ডীগড়ের আতিথেয়তায় খুশি। তাঁরা উত্তর ভারতের এই শহরের সুপ্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাক্ষী থাকেন। অ্যাথলিটরাও চণ্ডীগড়ে এসে খুশি। ম্যারাথন সফল করার জন্য সাহায্য করে সরকার। পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যে ভালোভাবে শেষ হল ম্যারাথন। প্রথমবারের প্রতিযোগিতা ভালোভাবে অনুষ্ঠিত করতে পেরে খুশি আয়োজকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতি বছরের তৃতীয় রবিবার চণ্ডীগড়ে এই ম্যারাথন হবে। ওয়ার্ল্ড ম্যারাথন মেজর কোয়ালিফায়ার হয়ে উঠবে চণ্ডীগড়ের এই ম্যারাথন, আশায় আয়োজকরা। সারা বিশ্বের অ্যাথলেটিক্স মহলে সমাদৃত ওয়ার্ল্ড মেজর ম্যারাথনস হয় বিশ্বের ৬টি শহরে। এই শহরগুলি হল নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, বস্টন, বার্লিন, টোকিও ও লন্ডন। ভারতীয় অ্যাথলিটরা যাতে বিশ্বসেরাদের সঙ্গে লড়াই করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে আন্ডার আর্মার সংস্থা।
দূরপাল্লার দৌড়ের উন্নতিতে সাহায্য করার লক্ষ্যে আন্ডার আর্মার সংস্থা
লং ডিস্ট্যান্স রানিংয়ে ভারতীয়রা যাতে উন্নতি করতে পারেন এবং সারা দেশে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে দৌড়, সেই লক্ষ্যেই এই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই ম্যারাথনের মূল উদ্যোগ আন্ডার আর্মার সংস্থার। এই সংস্থা অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্স অ্যাপারেল, জুতো এবং অন্যান্য ক্রীড়া সরঞ্জাম তৈরি করে। এছাড়া এই সংস্থা ক্রীড়া সরঞ্জাম উদ্ভাবন, বিপণন ও বণ্টনও করে থাকে। আন্ডার আর্মার সংস্থার তৈরি ক্রীড়া সরঞ্জাম ব্যবহার করেন প্রথমসারির ক্রীড়াবিদরা। ভারতে অ্যাথলেটিক্সের উন্নতিতে সাহায্য করতে চাইছে এই সংস্থা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Asian Games 2023: আফ্রিকাজাতরা না থাকলে ভারতের পদক বাড়ত, দাবি অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের প্রধানের
প্রথমবার বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জেসউইন অলড্রিন