ইন্টারনেট মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া আয়োজিত প্রথম ডিজিটাল প্রকাশনা ইভেন্ট পাবভিশনের আলোচনায় উঠে এসেছে ভুলো খবর, ভুল তথ্য পরিবেশনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি। ভার্চুয়াল এই ইভেন্টে দেড় হাজারেও বেশি ডিডিটাল প্রকাশ ব্র্যান্ড, এজেন্সি, বিজ্ঞাপণ নেটওয়ার্ক অংশ নিয়েছিলে। সেখানেই সাংবাদিক তথা এশিয়ানেট নিউজ মিডিয়ায় এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান রাজেশ কালরা ভুল তথ্য আর ফেক নিউজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন এজাতীয় খবর যে কেউ প্রতারিত হতে পারে।
এই অনুষ্ঠানে যোগদিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের কাছে ফ্যাক্ট চেক একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে প্রাপ্ত তথ্যগুলি গুলির সত্যতা যাচাই করা রীতিমত কঠিন কাজ। এটি অত্যন্ত সয়ম সাপেক্ষ আর শ্রমসাধ্য প্রক্রিয়াও বটে। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইন্টারন্যাশানাল ফ্যাক্ট চেকিং নেওয়ার্কের ডিরেক্টর বাবরস ওরসেক, ইন্ডিয়াস্পেন্ডের প্রতিষ্ঠাতা গোবিন্দরাজ ইথিরাজ ও এশিয়ানেট নিউজ মিটিয়ায়র এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্য়ান রাজেশ কালরা।
শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত INS Vikrant, দেশের তৈরি যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে আশাবাদী রাজনাথ ...
রাজেশ কালরার মতে ভুল তথ্যের মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তি প্রতারিত হতে পারেন। দ্রুত সাংবাদ পাওয়া আর তা পরিবেশনের চেষ্টা করাই এজাতীয় সমস্যা তৈরি করে। কথা প্রসঙ্গে তিনি রোনাল্ডো আর কোকোকোলার প্রসঙ্গও তুলে আনেন। তিনি বলেন, রোনাল্ড কোকোকোলার বোতল সরিয়ে রেখেছিলেন বলেই শেয়ার দাম পড়েগিয়েছিল এমনটা নয়। এক্ষেত্রে অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমই বিষয়টির অন্য দিকগুলি খতিয়ে দেখেননি। তারপরেই তিনি বলেন জাল সংবাদ নির্বাচনের ফলাফলকেও প্রভাবিত করতে পারে।
মার্কিন ডেটাবেস থেকে করোনার তথ্য গায়েব, কোভিড ১৯ এর উৎস লুকাতেই কি চিনের কারসাজি ...
বর্তমানে অনেকেও কোনও একটি তথ্য পেলেই তা হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে ফরোয়ার্ড করে দেয়। সেই থেকেই ভুয়ো সংবাদ সবথেকে বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ। এখন অনেকটা এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে কোনও একটি সংবাদ পরিবেশন হওয়ার পরেই সেই সংবাদের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। তবে কোনও একটি খবরের সঠিক তথ্যের উৎস জানার জন্যএ এজাতীয় সোশ্যাস মিডিয়া বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার হওয়া জরুরি।