স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতা চলে তাঁদের মধ্যে। এরপর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী বলেন, "বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমেরিকাকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Corona Second Wave) আছড়ে পড়ার সময় দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ওই সময় করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম সংগ্রহ করে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকা (America)। তার জন্য আমেরিকা সফরে গিয়ে 'ধন্যবাদ' জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। অন্যদিকে ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়ার প্রশংসা শোনা গিয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) মুখে। এছাড়া ভারত দ্রুত টিকা (Vaccine) রফতানির কাজ শুরু করবে বলে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় ভারতে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ভয়াবহ হয়ে উঠছিল পরিস্থিতি। তা সামাল দিতে গিয়ে রীতমতো নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল চিকিৎসকদের। অক্সিজেনের আকাল (Oxygen scarcity) দেখা দিয়েছিল দেশে। তার জেরে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ওই পরিস্থিতিতে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকা। করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল তারা। অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে পালস অক্সিমিটার, ব়্যাপিড টেস্ট কিট, মাস্ক সহ একাধিক জিনিস পাঠানো হয়েছিল আমেরিকার তরফে। আর এই সাহায্যের জন্য আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠকের আগেই মার্কিন সংস্থার CEO-র সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
তিনদিনের জন্য আমেরিকা সফরে গিয়েছেন মোদী। স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতা চলে তাঁদের মধ্যে। এরপর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী বলেন, "বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমেরিকাকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"
এ প্রসঙ্গে কমলা হ্যারিস বলেন, "যখন ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, সেই সময় আমেরিকা গর্বের সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমি ঘোষণা করছি যে ভারত দ্রুত টিকা রফতানির কাজ শুরু করবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভারত আজই দৈনিক এক কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছে।"
আরও পড়ুন- কমলা হ্যারিস ‘অনুপ্রেরণার উৎস’, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভারতে আমন্ত্রণ মোদীর
আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগে ফোনে কথা হলেও প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর এই প্রথম বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে তাঁর। দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে বৈঠক ছাড়াও কোয়াডের সদস্য দেশগুলির সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।