অসহযোগ আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নিতেই গান্ধীজি সত্যাগ্রহের সঙ্কল্প নেন। আর এর জন্য তিনি গুজরাটের সুরাটে বরদোলি গ্রামে সত্যাগ্রহ করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এই আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক গুরুত্বপূর্ণ তারপর্য বহন করে।
স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় গুজরাটের সুরাটের বরদোলি ছিল একটি কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এই এলাকার মানুষের জীবিকাই ছিল চাষবাস। কিন্তু তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার আচমকাই জমিতে খাজনার পরিমাণ ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। এতে মাথায় হাত পড়ে যায় কৃষকদের। তাঁরা ব্রিটিশ সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। এই সময় চৌরিচোরায় গান্ধীজির ডাকা অসহোগ আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গান্ধীজি অসহোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। তার বদলে তিনি ঘোষণা করেন যে তিনি বরদোলিতে সত্যাগ্রহ করবেন। কৃষকদের উপরে অতিরিক্ত করের বোঝার খবর পেয়ে বরদোলিতে ছুটে যান আহমেদাবাদ পুরসভার প্রেসিডেন্ট সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। তিনি বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের একসঙ্গে করতে শুরু করেন। বোম্বেতে ব্রিটিশ গভর্নরের কাছে খাজনা কমানোর প্রস্তা়ব পাঠান প্যাটেল। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। সত্যাগ্রহের জেরে পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে ব্রিটিশ সরকার নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এমনকী খাজনা কেন বাড়ানো হল তা নিয়েও তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান।