কমলাদেবী চট্টোপাধ্য়ায়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে প্রথম মহিলা যাকে ব্রিটিশরা গ্রেফতার করেছিল। এমনকী তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি কোনও নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। এমনকী তিনি প্রথম মহিলা যিনি স্বামীর কাছ থেকে দেশের প্রথম আইনি বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়েছিলেন। কমলাদেবী চট্টোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে স্বাধীন ভারতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও জন্ম হয়, যেগুলি আজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে স্বরস্বত ব্রাহ্মণ পরিবারে ৩ এপ্রিল ১৯০৩ সালে জন্ম কমলাদেবীর। তাঁর বাবা ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর থাকলেও তিনি অকালে প্রয়াত হন। সেভাবে স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেননি। কমলাদেবীর পরিবার আদর্শগতভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থক ছিল। সেই সূত্রে ছোট থেকেই কমলাদেবীর মধ্যে দেশপ্রেম ছিল প্রবল। তিনি ভারতের প্রথম মহিলা যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এমনকী তিনি ম্যাঙ্গালোরের স্বারস্বত জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম মহিলা যিনি বিধবা হয়েও দ্বিতীয় বিবাহ করতে পিছপা হননি। তিনি প্রথম মহিলা যিনি ১৯২৬ সালে নির্বাচনেও লড়াই করেছিলেন। কিন্তু অল্পের জন্য পরাজিত হন। কমলাদেবী প্রথম মহিলা যিনি স্বারস্বত জনগোষ্ঠী থেকে বিদেশে পড়তে গিয়েছিলেন। এককথায় একদিকে তিনি যেমন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, তেমনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তেমনি প্রবল নারীবাদী, একাধিক প্রতিষ্ঠানের জনক ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পৃষ্টপোষক হিসাবেও সুপরিচিত ছিলেন। বলতে গেলে কমলাদেবী নিজ গুণে একাধিক দিশায় নিজের দক্ষতাকে মেলে ধরেছিলেন। তাঁর আগে কোনও মহিলা এই কাজটা এত সাফল্যের সঙ্গে করে উঠতে পারেনি।