সোমবার রাত সাড়ে ১০ নাগাদ বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ-এর। এরপরে রাত বাড়লেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। খবর পেয়ে অশান্তির আঁচ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপরেই সাত থেকে আটটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি সূত্রে তৃণমূল উপপ্রধানকে ধরে এই ঘটনায় মোট ১৩ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ১০ নাগাদ বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ-এর। এরপরে রাত বাড়লেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। খবর পেয়ে অশান্তির আঁচ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপরেই সাত থেকে আটটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি সূত্রে তৃণমূল উপপ্রধানকে ধরে এই ঘটনায় মোট ১৩ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। একজনের দেহ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রামপুরহাট হাসাপাতালে আনা হয়। তবে বাকি দেহগুলি লোপাট করে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে বড় অশান্তি হতে পারে বলে আগে থেকেই পুলিশ গ্রামে ছিল, তারপরেও এতগুলি বাড়িতে আগুন লাগে, তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই উঠেছে প্রশ্ন। আগুন নেভাতে সকালে সেখানে যান দমকলকর্মীরা। তারাই মৃত্য়ুর খবর নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের একাংশের দাবি কোনও সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বা শর্ট সার্কিটের কারণেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে হত্যাকাণ্ডের পরপরই এই ঘটনা ঘটল কী করে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বেসরকারি সূত্রে তৃণমূল উপপ্রধানকে ধরে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে এর মধ্যে ১০ জন মহিলা ২ জন শিশু। কিন্তু রাজ্য পুলিশের ডিজিপি তৃণমূলের উপপ্রধান ছাড়াও মোট ৮ জনের মৃত্যুর কথা ২২ মার্চ দুপুর বেলা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পর বগটুই গ্রামে যে সাত থেকে আটটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে, সেখানে একটি বাড়ি থেকে ৭ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। ডিজিপি মনোজ মালব্যর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল উপপ্রধান ছাড়াও আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ১৩ জনের মৃত্যুর খবরকে কোনওভাবেই নিশ্চিত করেননি।