ওই বৃদ্ধ অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন। এই খবর দেওয়া হয় ঝালদা থানায়।
পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা হাটতলা থেকে এক ব্যক্তির (person) মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সন্দেহ করা হচ্ছে অতিরিক্ত ঠান্ডার (excessive cold) ফলেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু (person died) হয়েছে। পুরুলিয়ার ঝালদা শহর লাগোয়া ঝালদা হাট তলার একটি বট গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা যায় পুরুলিয়ার ঝালদা থানার পাট ঝালদা গ্রামের কার্তিক কর্মকার (৫৫)কয়েকদিন ধরে ঝালদা হাটতলার একটি বট গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
শুক্রবার তার মৃতদেহ দেখতে পান পথচলতি মানুষেরা। ওই বৃদ্ধ অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন। এই খবর দেওয়া হয় ঝালদা থানায়। খবর পেয়ে ঝালদা থানার পুলিশ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। এরপরই দেহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণেই সম্ভবত ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন থেকেই পুরুলিয়া জেলার অনেকটা তাপমাত্রা পতন ঘটেছে। এমনকি প্রায় চার ডিগ্রি ঘরে পৌছায় তাপমাত্রা। এই অবস্থায় ওই বৃদ্ধ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানোর জন্যই সম্ভবত অতিরিক্ত শীতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও ওই বৃদ্ধর কি কারনে মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে।
গত কয়েকদিন থেকে ৬-৭ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রির ঘরেই রয়েছে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা। সকাল থেকে কনকনে ঠান্ডা সাথে ঝোড়ো হাওয়ায় নাস্তানাবুদ জেলাবাসী। এদিকে উত্তুরে হওয়ার দাপটে কয়েকদিন ঝোড়ো ইনিংস খেলছিল শীত। কিন্তু হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে আগামী এক সপ্তাহ শীতঘুমে চলে যেতে পারে চলতি মরসুমের শীত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Meteorological Office) প্রাত্যহিক বুলেটিন জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার (Kolkata) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। এদিনের তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল। যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশের কাছাকাছি। আগামী দু থেকে তিন দিনে ঠাণ্ডার পরিমাণ আরও কমবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের (Meteorologist)।
বড়দিনের আগেই বেশকিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে তাপমাত্রার পারদ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে বাংলায় প্রবেশের পথে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। যার কারণে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা উর্দ্ধগামী হচ্ছে বলে মত তাদের। তার ফলে বড়দিনে কনকনে ঠান্ডা যে থাকবে না তা বলাই বাহুল্য।। তবে শীতের আমেজ বজায় থাকবে বলে মত আবহাওয়াবিদদের।