৪র্থ দফায় ৪৪টি আসনে লড়াই, বিজেপির উত্তরবঙ্গে উত্থানের প্রভাব কি পড়বে দক্ষিণবঙ্গে

  • শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচন 
  • ৪৪টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে 
  • উত্তরবঙ্গে শক্তি বৃদ্ধি করেছে বিজেপি 
  • হুগলিও শক্তিশালী হয়েছে গেরুয়া শিবির 

Asianet News Bangla | Published : Apr 9, 2021 7:45 AM IST / Updated: Apr 09 2021, 01:29 PM IST

কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। শনিবাার অর্থাৎ ১০ এপ্রিল রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ। উত্তর বঙ্গ ও দক্ষিণ বঙ্গ মিলিয়ে রাজ্যের মোট ৪৪টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। নজরকাড়া আসন না থাকলেও এই ৪৪টি আসনের নির্বাচন রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আগ্নিপরীক্ষার সমান। কারণ ভোট পরিসংখ্যন অনুযায়ী এই ৪৪টি আসনের অধিকাংশ কেন্দ্রেই গত বিধানসভা নির্বাচনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রস। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরীখে ওই ৪৪টি আসনের মধ্যে প্রায় ২০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ভোট প্রচারেও সেকথা স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বারবার বলেছেন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দলের প্রতীকেই যেন ভোট দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন এটা দিল্লির ভোট নয়। এটা বাংলার ভোট। 

এক নজরে রাজ্যের ২০১৬ ও ২০১৯-এ রাজ্যের ভোট চিত্রঃ 

সব পরিসংখ্যন ছাপিয়ে যাচ্ছে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ, করোনা-ক্লান্ত বিশ্বে তৃতীয় স্থানে ভারত ...

শনিবার রাজ্যের ৬টি জেলায় ভোট গ্রহণ হবে। যারমধ্যে এই প্রথম ভোট গ্রহণ হচ্ছে উত্তরবঙ্গে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। প্রথমবার ভোট গ্রহণ হচ্ছে কলকাতাতেই। এক নজরে ভোট গ্রহণের জেলা ওয়াড়ি ভাগঃ

মসজিদের নিচেই মন্দির, সত্য জানতে বারানসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে সার্ভের নির্দেশ আদালতের ...

গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচবনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে উত্তরবঙ্গে ২০১৬র বিধানসভা নির্বাচনে একচ্ছত্র রাজ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের পিছনে ফলে সহজেই জয় পেয়েছিল তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনেও সেভাবে মাথা তুলতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু সম্পর্ণ ছবিটাই বদলে গেছে লোকসভা নির্বাচনে। উত্তরবঙ্গে অধিকাংশ আসনেই তণমূল কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে খুব সহজেই জয় হাসিল করেছে বিজেপি। আর বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার উত্তরে জয়ী হয়েছিলে ফরোয়ার্ডব্লক প্রার্থী ও মাদারিহাট দখল করেছিল বিজেপি। লোকসভা ভোটের নিরীখে একাধিক কেন্দ্রেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কোচবিহার জেলার সিতাই ছাড়ার বাকি সবকটি কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর সেই কারণেই চতুর্থ দফার নির্বাচনকে রীতিমত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের অনেক আগেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে জনসংযোগ বাড়াতে ও দলীয় নেতা কর্মীদের উৎসাহিত করতে একাধিকহার এসেছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। বিধানসভার ভোট প্রচারে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। 

কেরলের ভোট কাটিয়ে কি বঙ্গে আসবেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেতার প্রচার নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ..
অনেকটা একই ছবি দক্ষিণবঙ্গের হুগলিতে। এই জেলার ১০টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে শনিবার। গত বিধানসভা নির্বাচনে ৮টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। একটি করে আসন দখল করতে পেরেছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচের নিরীখে হুগলির ১০টি র মধ্যে ছটিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অথচ বিধানসভা নির্বাচনেও কোনও আসনই পায়নি বিজেপি। তৃতীয় স্থান দখল করে থাকতে হয়েছিল। 


অন্যদিকে হাওড়া ও কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের ছবি স্পষ্ট হচ্ছে। কলকাতার মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে একমাত্র যাবদপুরটি দখল করতে পেরেছিল বামেরা। হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও আসনই পায়নি বামেরা। লোকসভা ও বিধানসভা দুটি ভোটেই একচ্ছত্র রাজ করেছিল তৃণমূল।  


 

Share this article
click me!