লালমাটির ঝাড়গ্রামে ত্রিমুখী লড়াই, কার হাতে থাকবে 'জঙ্গলমহল'র দায়িত্বভার

  • ঝাড়গ্রামের ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা 
  • ঝাড়গ্রামে দখল নিয়ে মরিয়া চেষ্টা তৃণমূলের 
  • আসন ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি 
  • অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে বামেরা 

Asianet News Bangla | Published : Mar 17, 2021 10:31 AM IST / Updated: Mar 25 2021, 11:48 AM IST

একটা সময় সিপিএম-এর শক্তঘাঁটি ছিল। পরবর্তীকালে তৃণমূল এই কেন্দ্রীয় রীতিমত শক্তিপ্রদর্শন করে। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে সব রাজনৈতিক সমীকরণে ওলটপালট করে দিয়ে ঝাড়গ্রামসহ গোটা জঙ্গলমহল শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্খী কুনার হেমব্রম। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির তুরুপের তাস। ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে তাঁকেই। বিধানসভা নির্বাচন একদিকে যেমন বিজেপির কাছে আসন ধরে রাখার লড়াই অন্যদিকে তৃণমূলের কাছে এই ভোট নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আর বামেদের কাছে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করার লড়াই।

 রাজ্যের প্রথম সারির তিনটি রাজনৈতিক দল যে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তা প্রার্থী বাছাই দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী করেছে সুখময় শতপথী। তৃণমূলের প্রার্থী সাঁওতালি সিনেমা মহানায়িকা বীরবাহা সোরেন। তিনি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধ ঝাড়খণ্ড পার্টির হয়ে লড়াই করেছিলেন। তবে এখন তিনি শিবির বদল করে ঘাসফুল পাতাকা হাতে তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে বীরবাহাকে প্রার্থী করে দলীয় কোন্দল ধাপাচাপা দিয়ে আদিবাসী ভোট পাওয়ার দিকেই জোর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সিপিএম তথা বামেরা এখানে প্রার্থী করেছে এলাকারই ভূমিকন্যা মধুজা সেনরায়কে। একই সঙ্গে সিপিএমও মঝুজা সেনরায়কে প্রার্থী করে তৃণমূলের ঘরের মেয়ে স্লোগানকেই হাতিয়ার করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে। 

ঝাড়গ্রামে ত্রিমুখী লড়াই হওয়াল সম্ভাবনা রয়েছে 

 

১৯৭৭-২০০৬ সাল পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বামেদের। এই কেন্দ্র থেকে টানা বাম প্রার্থীরাই জয়ী হয়ে বিধানসভায় গেছেন। ২০১১ আর ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন সুকুমার হাঁসদা। ২০২০ সালের অক্টোবরে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়ে বীরবাহা সোরেনকে। এই কেন্দ্রটিতেও শুভেন্দু অধিকারীর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। আর সেই কারণেই এই কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই খুব একটা হালকাভাবে গ্রহণ করেনি কোনও রাজনৈতিক দলই। 

'প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে আগে সম্মান করতাম কিন্তু...', বিষ্ণুপুরের সভা থেকে মোদীকে তোপ মমতার ...

প্রচার যুদ্ধে শুরুতেই ব্যাকফুটে কংগ্রেস, বাংলায় কবে আসছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা ...

ঝাড়গ্রাম পুরসভা, বন্ধুগোরা, মানিকপাড়া, রাধানগর, সফধারা  গ্রামপঞ্চায়েত, ঝাড়গ্রাম ব্লক, বিনপুর এক নম্বপ ব্লক নিয়ে ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই বিধানসভা কেন্দ্রটি। বাম জমানার শেষ দিকে ঝাড়গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকায় মাওবাদীদের আধিপত্য বাড়তে থাকে। সেই সময় রাতের অন্ধকারতো বটেন দিনের বেলাতেও এলাকার বাসিন্দাদের জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হত। কিন্তু তৃণমূলের শাসনের প্রথম দিকে কিছুটা কমেও গিয়েছিল মাওবাদীদের অত্যাচার। বর্তমানে আবরও দুএকটা মাও পোস্টার পড়া শুরু করেছে এলাকা। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সেটিও একটি অন্যতম ইস্যু। 

Share this article
click me!