অশান্তি এড়াতে রীতিমত কড়া নজরদারীতেই হবে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার বাংলাসহ চার রাজ্য ও পুদুচেরির ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় মুখ্য নির্বাচন কমিশন সুনীল অরোরা জানিয়েছেন বাংলার বিশেষ ভোট পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন অজয় নায়েক। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেহে থাকবেন বিবেদ দুবে ও মৃণালকান্তি দাস। যার মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে বাংলার দায়িত্বে থিলেন বিবেক দুবে আর অজয় নায়েক। নজিরবিহীন হলেও এবার বাংলায় থাকছে দুই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। বাকি সবকটি রাজ্যে একজন করে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকছেন।
বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক- অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক অজয় নায়েক। বিহার ক্যাডারের ১৯৮৪-এর ব্যাচের আধিকারিক ছিলেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই সময় দ্বিতীয় দফার ভোট থেকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। একটা সময় বিহারের প্রধান নির্বাচনী কর্তকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে বিহারের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছিল তাঁরই নেতৃত্বে, তেমনই দাবি করে সরকারি মহল।
বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে- ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিবেক দুবে। নির্বাচন কমিশনের জানিয়েছে ১৯৮১ সালে অন্ধ্র প্রদেশ ক্যাডারের আইপিএস বিবেক কুমার। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুদায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক কেকে শর্মাকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল বিবেক দুবেকে। সেই সময় গেরুয়া শিবিরের চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলেও অনেকে মনে করেন। বিবেক দুবের বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়ে সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
অসমে ২২৬ আসনে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ, প্রথম দফা ২৭ মার্চ, গণনা ২ মে ...
বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক মৃণালকান্তি দাস- রাজ্যের অপর পুলিশ পর্যবেক্ষক মৃণালকান্তি দাস ১৯৭৭ সালের আইএএস। ত্রিপুরা ও মিজোরামে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৯ সালের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের সময়ই পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কর্মজীবনে দক্ষ ও কঠোর আধিকারিক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন মৃণালকান্তি দাস।মণিপুরের ডিরেক্টর জেনালেরে পদ থেকেই অবসর নিয়েছিলেন তিনি।