কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মহাদেব সরকার
শুক্রবারই তিনি প্রচার শুরু করলেন
আর শুরুতেই আক্রমণ শানালেন প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে
তাঁর মতে এলাকার কোনও কাজই করতে পারেননি উজ্জ্বল বিশ্বাস
'পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ধুবুলিয়ায় অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম টিবি হাসপাতাল মুছে দেওয়া হয়েছে। আর এর জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস।' শুক্রবার, এভাবেই শাসক দলের বিরুদ্ধে জোরালো আক্রমণ শানিয়ে প্রচার শুরু করলেন কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মহাদেব সরকার। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি থেকে বিজেপির যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর তাঁকে নিয়েও স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও তাই নিয়ে বিশেষ ভাবিত নন তিনি।
প্রথম দিনই মহাদেব বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর প্রচারের মূল সুরটা হল নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর উন্নয়ন প্রকল্প। আর তার সঙ্গে নির্দিষ্টভাবে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস দলকে আক্রমণ করা। কৃষিপ্রধান এলাকা কৃষ্ণনগর দক্ষিণে প্রচারে বেরিয়ে তিনি এদিন অভিযোগ করেন, এই রাজ্যে কৃষকদের আত্মহত্যার মিছিল ঘটে গেলেও মমতা সরকারের তাই নিয়ে কোনও ভাবনা নেই। রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই কৃষকরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচবেন বলে দাবি তাঁর। সেই সঙ্গে শাসক দলকে বিঁধতে তাঁর অস্ত্র, ধুবুলিয়া উদ্বাস্তুদের অনুন্নয়ন। এর জন্য তিনি তাঁর প্রতিপক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
এলাকার বর্তমান বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস সম্পর্কে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের জন্য তো দূরস্থান, এলাকার জন্যই কিছু করেননি তিনি। মহাদেব আরও বলেন, টেলিভিশনেই উজ্জ্বল বিশ্বাসকে বিধানসভায় গিয়ে ঘুমোতে দেখা গিয়েছে। তিনি কোনওদিন বিধানসভায় মুখও খোলেন না, কার্যত তিনি বোবা। এমন কোনও মানুষকে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান না কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্রের মানুষ, বলে দাবি করেছেন মহাদেব সরকার।
আরও পড়ুন - কত সম্পত্তির মালিক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, হলফনামায় কী জানালেন ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী
আরও পড়ুন - নরেন্দ্র মোদী কি সত্যিই এই রাজ্যে বহিরাগত, মাত্র ১৭ বছর বয়স থেকেই বাংলার সঙ্গে তাঁর যোগ
আরও পড়ুন - তৃণমূলের নির্বাচনী ইশতেহার - প্রশ্নের মুখে 'দিদির অঙ্গীকার', উত্তর খুঁজছে বাংলার জনতা
আর প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তাঁর নাম ঘোষণার পর হাজার হাজজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁকে নিয়ে এলাকা পরিক্রমা করেছেন। তাঁদের দল অনেক বড় দল। তাই একাংশের কিছু ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকবেই। বিষয়টি আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়।