বয়াল গ্রামে বোতল-বন্দি মমতা, ফুটবলের স্ট্র্যাটেজিতেই কি মাত করলেন শুভেন্দু

খেলার মতোই রাজনীতিতেও দারুণ গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজি

এদিন বয়াল গ্রামে ২ ঘন্টা আটকে রইলেন মমতা

প্রায় ফুটবলের ম্যানমার্ক করে বোতল বন্দী করার মতো

এটা কি শুভেন্দু অধিকারীর গেমপ্ল্যানেরই অংশ

Asianet News Bangla | Published : Apr 1, 2021 12:18 PM IST / Updated: Apr 01 2021, 06:00 PM IST

এবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে 'খেলা হবে' স্লোগান। মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব পাল্টা বিকাশ হবে স্লোগান তুললেও, নিচু তলার বিজেপি নেতা-কর্মীরা এমনকী বাম কর্মীদেরও কোথাও কোথাও খেলা হবে স্লোগান শোনা গিয়েছে। অনেকে আবার বলছেন, রাজনীতি মোটেই খেলা নয়। রাজনীতি খেলা না হলেও, নির্বাচন কিন্তু একরকম খেলাই বটে।  

ক্রীড়া জগতে যেমন, অনুশীলনে যে যতই ভালো খেলুক না কেন, আসল ম্যাচের সময়ের পারফরম্যান্সের উপরই নির্ভর করে সাফল্য। নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। সারা বছর যে যতই কাজ করুন না কেন, নির্বাচনের প্রচার পর্ব, নির্বাচনের দিন - কে কেমন পারফর্ম করল, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে নির্বাচনের ফল। সেই সঙ্গে একেবারে খেলার মতোই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় খেলোয়াড় বাছাই, কৌশল তৈরি, সেই কৌশলকে কাজে লাগানো - খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন - শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে 'পাকিস্তানি'দের হামলা - ইটের ঘায়ে ভাঙল কাচ, অক্ষত বিজেপি নেতা

আরও পড়ুন - ঝরঝর করে কাঁদছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল এজেন্টের মা, আতঙ্কে বুথেই যেতে দিলেন না ছেলেকে

আরও পড়ুন - কেশপুরে বিজেপি প্রার্থীর উপর প্রাণঘাতি হামলা, ভয়ঙ্কর আক্রমণ সংবাদমাধ্যমের উপরও

আর সেখানেই বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়াল গ্রামের ঘটনার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে একটা প্রশ্ন উঠে গিয়েছে - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি ম্যান মার্ক করে খেলাটা জিতে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী? যেরকম প্রায়ই খেলার খবরে পড়া যায়, অমুক দলের স্ট্রাইকারকে ম্যান মার্ক করে বোতল বন্দী করে ফেলল প্রতিদ্বন্দ্বী দল। গোল করার ক্ষমতা বন্ধ হয়ে গেল দলটির, আর তাতেই পরাজয়। এই কারণেই এক স্ট্রাইকারে এখন আর কোনও দলই খেলতে চায় না। তবে, তৃণমূল কংগ্রেস ব্যতিক্রম। তারা এখনও এক স্ট্রাইকারেই বিশ্বাসী।

এদিন বেলা দেড়টার কিছু পরে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে ভোট দেখতে বেরিয়েছিলেন মমতা। বয়াল গ্রামে পৌঁছতেই তৈরি হল উত্তেজনা। তৃণমূল নেত্রীকে ঘিরে উঠল 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান। বুথের ভিতরে আটকে পড়লেন মমতা। দুই ঘন্টা সেখানেই হুইলচেয়ারে বসে রইলেন তৃণমূলের স্ট্রাইকার। অন্য কোনও বুথে সেইভাবে যেতেই পারলেন না তিনি। এটা কি বোতলবন্দী অবস্থা নয়? যে বুথ জ্যামের অভিযোগ মমতা বয়ালের ৭ নম্বর বুথ সম্পর্কে তুলছেন, তা নন্দীগ্রামের অন্যত্র হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের কিছুই করার ছিল না। তাদের একমাত্র স্ট্রাইকার, বোতল বন্দী।

শুধু তাই নয়, প্রচার পর্বেও এই  বোতল বন্দী অবস্থা হয়েছিল মমতার। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জটা বেশ কড়া, তা ভালোই বুঝেছিলেন। তাই দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ৩০টি আসনে নির্বাচন হলেও, শেষ ৫টা দিন আর কোথাও প্রচারে যেতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামেই পরে থাকতে হয়েছিল।

তবে নির্বাচনের সবটাই খেলার সঙ্গে মেলে না। খেলায় যেমন খেলা শেষ হতেই ফলাফল জানা যায়, নির্বাচনে তা হওয়ার উপায় নেই। এখন দফায় দফায় নির্বাচন হয়ে তো অপেক্ষাটাএকমাস দীর্ঘ। তাই, সত্য়ি সত্যি মমতাকে বোতলবন্দী করে ফায়দা তুলতে পারলেন কি না শুভেন্দু অধিকারী, তা জানা যাবে ২ মে।

 

Share this article
click me!