দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় জন্ম নিল তিন তুষাড়-চিতা শাবক
বিশ্বে তুষাড়-চিতার সংখ্যা ক্রমে কমে আসছে
এর মধ্যে এই তিন ছানার জন্ম নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
এক বৃহত্তর প্রকল্পের অংশ হবে এই ছানাগুলি
তেড়ে গরম পড়েছে কলকাতায়। রাজনৈতিক উত্তাপ, আবহাওয়ার তাপমাত্রা - সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগার। আর এর মধ্যেই, মঙ্গলবার, পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক বা পিএনএইচজেডপি (PNHZP) অর্থাৎ দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় জন্ম নিল তিন-তিনটি স্নো লেপার্ড বা তুষার চিতার ছানা। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ধর্মদেও এদিন জানান, এই স্নো লেপার্ডের ছানাগুলি জন্ম নিয়েছে চিড়িয়াখানার তোপকিদারা কেন্দ্রে।
তাদের মা-এর নাম 'জিম্মা'। আর বাবার নাম 'নামকা' বাবা। জন্ম নেওয়ার পর থেকে ছানা তিনটিকে এবং তাদের মা-কে ২৪ ঘন্টা নজরদারীতে রেখেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বস্তুত, জিম্মা ও তার ছানারা যে খাঁচায় রয়েছে, তাতে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেই ক্যামেরায় ধরা পড়েছে জিম্মা ও তার ছানারা প্রত্যেকেই বহাল তবিয়তেই রয়েছে। জিম্মাকে দেখা যায় নবজাতকদের দুধ খাওয়াতে। দেখলে মনে হবে যেন গৃহপালিত বিড়াল।
জিম্মার এই তিন ছানা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তর কর্মকাণ্ডের অংশও বটে। মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার এক বিস্তীর্ণ পার্বত্য অঞ্চলে, ৩,০০০ থেকে ৪,৫০০ মিটার উচ্চতায় বসবাস করে স্নো লেপার্ড বা তুষার চিতা। বিশ্বব্যাপী এই বিশেষ প্রজাতির চিতাবাঘেদের সংখ্যা কমতে কমতে ১০,০০০-এর নিচে এসে ঠেকেছে। প্রাণীবিদদের আশঙ্কা ২০৪০ সালের মধ্যে তুষাড় চিতার সংখ্যা আরও ১০ শতাংশ কমে যাবে। এই অবলুপ্তির মূল কারণ দুটি - পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এই প্রাণীদের বাসস্থান ও খাদ্যের অভাব, দ্বিতীয়ত চোরা শিকার।
আরও পড়ুন - কাকে ভোট দেবেন, কোন 'বন্ধু' মমতার প্রিয়তম - ধন্দে পাহাড়ের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা
আরও পড়ুন - কেন সারদা-কাণ্ডে সিবিআই-এর নিশানায় মমতা, সারদা-তৃণমূল যোগ কোথায়
আরও পড়ুন - সিঙ্গুরের ভোটই বোঝাচ্ছে এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের বিপদ আছে
তাই, বর্তমানে বিশ্বব্যপী স্নো লেপার্ড সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই কর্মযজ্ঞে সামিল আমাদের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক-ও। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার তরফে স্নো লেপার্ড বা তুষার চিতা সংরক্ষণ প্রজনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ডিরেক্টর ধর্মদেও জানিয়েছেন, এদিন তিনটি তুষার চিতার জন্মের ফলে এই প্রকল্পে মোট তুষার চিতার সংখ্যা দাঁড়ালো ১২। তবে তারা সারা জীবন চিড়িয়াখানায় থাকবে না। একটু বড় হলেই তাদের বন্য পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।