কথায় বলে, কারও সর্বনাশ, তো কারও পৌষমাস। এ যেন আক্ষরিক অর্থেই তাই। রাজ্য় জুড়ে করোনা আতঙ্কের মাঝেই রোজগারের নয়া পথ খুঁজে পেয়েছেন হুগলির শ্রীরামপুরের গুলাম রব্বানি আনসারি। এখন কার্যত নাওয়া-খাওয়ার ফুরসৎ নেই তাঁর।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে নয়া দাওয়াই, অধ্যাপকের দাবিতে শোরগোল রায়গঞ্জে
গুলাম রব্বানি আনসারি পেশায় দর্জি। শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে দোকান চালান তিনি। ক'দিন আগে পর্যন্ত দোকানে বসে মহিলাদের জামা-কাপড় তৈরি করতেন গুলাম। কিন্তু করোনা আতঙ্কে সেই দোকানের ভোল পাল্টে গিয়েছে। সর্বক্ষণ দোকানে বসে কাজ করে চলেছেন জনা কুড়ি কর্মী। সেলাই মেশিনের শব্দে কান পাতাই দায়। তবে জামা-কাপড় নয়, তৈরি হচ্ছে মাস্ক! রাতারাতি দর্জি থেকে মাস্ক প্রস্তুতকারক বনে গিয়েছেন গুলাম। রোজগারও মন্দ হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্যানিটাইজার, করোনা আতঙ্কে দিশা দেখাচ্ছে রায়গঞ্জের পড়ুয়ারা
তাহলে কি করোনা আতঙ্কে পুরনোয় ব্যবসায় মন্দ দেখা দিল? একেবারেই নয়। গুলাম রব্বানি আনসারি বক্তব্য, তাঁর দোকান ভালোই চলে। এখন হাতে কাজ নেই, তাও নয়। তবে গ্রাহকদের নতুন জামা-কাপড় তৈরি করে দিতে হবে পয়লা বৈশাখের সময়ে। মাঝের এই সময়টাকেই কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। এমনিতেই বাজারে এখন মাস্কের চাহিদা তুঙ্গে। চাহিদা এতই যে, সময়মতো মাস্ক সরবরাহ করার জন্য কুড়ি কর্মীকে কাজে নিয়েছেন গুলাম।
উল্লেখ্য়, করোনা থেকে বাঁচতে সকলেই এখন মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। নাক-মুখ ঢেকে রাস্তা বেরোচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত যোগান নেই। কিন্তু বাজার থেকে ভাইরাস নিরোধক এন ৯৫ মাস্ক উধাও হয়েছে। ফলে সাধারণ মাস্ক পরেই কাজ চালাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।