'৫ টাকায়' নয়, মাত্র ১ টাকায় পেটপুরে পঞ্চ ব্যঞ্জন খাওয়ার ব্যবস্থা এই এলাকায়

  • কোভিডে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ
  •  ১ টাকার বিনিময় পঞ্চ ব্যঞ্জনে পেটপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা 
  •  এগিয়ে এলো সামশেরগঞ্জের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 
  •  রোগীদের ওষুধ ও অক্সিজেনও সরবরাহ করছে সংস্থাটি 
     

Asianet News Bangla | Published : May 15, 2021 8:49 AM IST / Updated: May 15 2021, 02:25 PM IST


করোনা আবহে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ। ১ টাকার বিনিময় পঞ্চ ব্যঞ্জনে পেটপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা। গল্প নয়-বাস্তব, মাত্র ১ টাকার বিনিময়েই মিলছে পঞ্চব্যঞ্জনে পেট পুরে খাওয়ার।করোণা আবহে আংশিক লকডাউন পরিস্থিতিতে এলাকার দিন মজুর,ঠিকা শ্রমিক থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলো সামশেরগঞ্জ থানা পাড়া কালী মন্দির পূজা কমিটির এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

আরও পড়ুন, ৩০ মে অবধি কার্যত লকডাউন রাজ্যে, বন্ধ অফিস-যান চলাচল, শুধু জরুরী পরিষেবায় ছাড় 

 

 

  রাজ্য সরকারের সহায়তায় নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছে বাংলায় মা-রান্নাঘর। যেখানে মাত্র ৫ টাকা পেট পুরে খাবার পাওয়া যায়। এবার তাকেও পিছনে ফেলে দৈনিক মাত্র ১ টাকার বিনিময় দুপুরে পেট পুরে খাবারের ব্যবস্থা করছেন তারা।এছাড়া এলাকায় কোভিড রোগীদের জন্য ওষুধ ও অক্সিজেনও সরবরাহ করছে ওই সংস্থাটি। দুপুরের এই আহারের জন্য সকাল থেকেই টিকিট সংগ্রহের লাইন পড়ছে। লকডাউন ও করোনা আবহে সংস্থাটির এমন উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। এবিষয়ে, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক শেখ, নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস, রতনদাসেরা বলেন, এই কঠিন সময়ে সাধারন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে যেভাবে ওই সংস্থার যুবকেরা এগিয়ে এসেছে তা প্রশংসার যোগ্য। আমরা এলাকার সকলে তাদের পাশে আছি ও সাধুবাদ জানাচ্ছি ।'

আরও পড়ুন, লকডাউনে চরম আর্থিক অনটন, স্ত্রী-তিন কন্যাকে আগুনে পুড়িয়ে আত্মঘাতী স্বামী 

 সংস্থাটি এলাকায় ভালো কাজ করে চলেছে।দুপুরে পেটপুরে আহারের মেনুতে থাকছে ভাত, রুটি, তরকারি, পাঁপড়, চাটনি ও মিষ্টি। মূল্য দিতে হচ্ছে মাত্র এক টাকা। প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ জনের আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের জন্য অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছে তারা। সংস্থার প্রধান রামকৃষ্ণ সিং বলেন, গত লকডাউন থেকেই এলাকার  শতাধিক দুঃস্থ  পরিবারকে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছি। লকডাউনে মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকেন, তার জন্য আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, 'ভ্যাকসিন নিলে ওকে বাঁচাতে পারতাম', কোভিডে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে চিকিৎসকের মর্মান্তিক মৃত্যু 

 


 কেউ যাতে নিজেকে ছোটো মনে না করেন, তার জন্য এক টাকা করে দাম নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে, ওই সংস্থার ভলান্টিয়ারের সদস্যরা, বাড়ি বাড়ি অক্সিজেন, খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন। সংস্থার এক সদস্য বলেন, আমরা খবর পেলেই বাইকে করে অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি। ২২ জন রোগীর অক্সিজেনের ব্যাবস্থা ও অন্তত ১০০ অসহায় পরিবারকে ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দিয়েছি। এমন উদ্যোগে খুশি গোটা এলাকাবাসী।
 

Share this article
click me!