সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই সোমবার নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা জমা নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামীকাল। তবে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার আগে সেই কপি দিতে হয়েছে সিবিআইয়ের কাছেও।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে চিঠি, মমতার সরকারকে নিশানা মালব্যর
১৭ মে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এরপর নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। ধরনা শেষে প্রায় ৬ ঘণ্টা পরে তিনি নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েছিলেন।
এই মামলায় প্রথমে সওয়াল করেন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি তুষার মেহতা। তাঁর সওয়াল পর্ব শেষে অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল শুরু করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। শুনানির প্রায় ১৫ দিন পর ৯ জুন অভিষেকের সওয়ালের মাঝখানে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে হলফনামা জমার দেওয়ার আবেদন জানান রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এক পক্ষের সওয়াল শেষে নতুন করে হলফনামা নিলে তার উপর ফের আলোচনা হবে। তাই তখন মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেয়নি আদালত।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মামলার পক্ষ হিসেবে যোগ করেছিল সিবিআই। নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রীকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছিল ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী হলফনামা জমা দেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে। এর পরই সেই হলফনামা গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় আদালত। যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের নিয়ম অনুসারে কোনও মামলার ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়া যায়। যদিও তাঁর ওই যুক্তি ধোপে টেকেনি।
আরও পড়ুন- ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কাণ্ডের জের, আজ রাজ্যে বন্ধ সমস্ত বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র
এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। ২৫ জুন সেই মামলার শুনানি শেষে ২৮ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মতোই আজ হাইকোর্ট তাঁদের হলফনামা জমা নিয়েছে। আগামীকাল এই মামলার শুনানি।