কোভিড টিকার পর এবার গুরুতর অভিযোগ নিয়ে শিরোণামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। রাজ্যের প্রাইভেট নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে সুস্থ মানুষকে ভর্তি করিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে টাকা রোজগারের অভিযোগ উঠেছে।
কোভিড টিকার পর এবার গুরুতর অভিযোগ নিয়ে শিরোণামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনিয়মের ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে গোটা রাজ্যে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই বাংলার গ্রাম-গ্রামে স্বাস্থ্যশিবিরের নাম করে সুস্থদেরই ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে আসা চলছে। তারপর নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে টাকা হাতানোর ছক কষে রাজ্যের একাধিক জেলার নার্সিংহোম। এমনটাই দাবি করা হয়েছে আনন্দবাজারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন, আজ বিকেলেই বিমানে দিল্লি পাড়ি মমতার, মোদীর বৈঠক ছাড়াও আরও কী কী কর্মসূচিতে
আনন্দবাজার প্রকাশিত প্রতিবেদন দাবি করা হয়েছে যে, সুস্থদেরই ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে আসা চলছে। নানা অছিলায় তাঁদেরকে নার্সিংহোমে টানা দশ মতো ভর্তি রাখা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবং তারপর তাঁদের নামে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিল তৈরি করা হচ্ছে। এভাবেই রাজ্য় সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড টাকা হাতানোর ছক কষেছে রাজ্যের একাধিক জেলার নার্সিংহোম। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ আরও উঠেছে। নার্সিংহোমে যাতায়াতে খরচ, ছেড়ে দেওয়ার পর বিনামূল্যে এক সপ্তাহের ওষুধ এবং ১০ দিনে বেশি ভর্তি থাকলেই নগর ১০ হাজার টাকাও দেওয়া হচ্ছে ওই উপভোক্তাদের কাছে। এদিকে বিনা শরীর খারাপেই এই টোপ দেওয়া হচ্ছে অনেককেই। আর তাঁরা ভর্তি হলেই চিকিৎসার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সব টাকা চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের কাছে। এপ্রসঙ্গে এক স্বাস্থ্য কর্তা জানিয়েছেন, কোনও চিকিৎসা না করেই যদি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প থেকে ৭০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া য়ায়, তাহলে তার থেকে ১০ হাজার টাকা উপভোক্তাকে দিলেও বাভ নার্সিংহোমেরই থাকবে।'
আরও পড়ুন, সাইকেল চলুক শহরে, পরিবেশ থেকে পকেট বাঁচানোর ফান্ডা উষা উথ্থুপের গানে
২২ এবং ২৩ জুন স্বাস্থ্য দফতরের চার তদন্তকারী অভিযুক্ত একাধিক নার্সিংহোম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের কিছু গ্রাম সশরীরে পরিদর্শন করেন। স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসা করিয়েছেন এমন অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে তাঁদের। এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের মানিকদীপা গ্রামের এক উপভোক্তার ছেলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে স্বাস্থ্য দফতর, বাঁকুড়ার তিনটি নার্সিংহোমকে শো-কজ করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই সকল নার্সিংহোমের নথিতে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকদিনে দশ-বারো জন করে রোগী আনা হয়েছে। যারা প্রত্যেকেই গা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাবের মত নন-স্পেসিফিক সমস্যা নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন। যেটা খুবই স্বাভাবিক। তাই এবার স্বাস্থ্য সাথীর পোর্টালে এমন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, যেখানে কোন অঞ্চলের লোক কতদূর থেকে এসে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ভর্তি হচ্ছেন , সেদিকে কড়া নজর থাকবে।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস