স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরানীনগর এলাকায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি কাঁচা নিকাশিনালা তৈরির জন্য প্রায় চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। অভিযোগ, বাইরে থেকে জবকার্ড হোল্ডারদের কয়েকজনকে নিয়ে এসে কাজ করিয়ে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে নিকাশি নালা তৈরির নামে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠল গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি সরকারি আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে মালদহের চাঁচল-২ নম্বর ব্লকের মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরানীনগর গ্রামের বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর নিয়ে একটি অভিযোগপত্র চাঁচল ২ নম্বর ব্লক দফতরে জমা দিয়েছেন। এই ঘটনা সামনে আসতেই মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকার ১০০ দিন প্রকল্পের জবকার্ড হোল্ডারদের মধ্যে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান মৌসুমী খাতুন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরানীনগর এলাকায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি কাঁচা নিকাশিনালা তৈরির জন্য প্রায় চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। অভিযোগ, বাইরে থেকে জবকার্ড হোল্ডারদের কয়েকজনকে নিয়ে এসে কাজ করিয়ে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। অথচ এলাকায় কাজের কাজের কিছুই হয়নি। স্থানীয় জবকার্ড হোল্ডাররা এই কাজ পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন- টাকার বিনিময় দিতেন নাবালিকার বিয়ে, পুলিশের জালে ভুয়ো ম্যারেজ রেজিস্টার
আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে তলব দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের, ৩০ সেপ্টেম্বর হাজিরার নির্দেশ
স্থানীয় এক জবকার্ড হোল্ডারের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বাইরে থেকে ১১ জন শ্রমিককে দু-তিন দিন কাজ করার পর ড্রেনের কাজ বন্ধ করে রাখা হয়। তারপরে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জবকার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের প্রকল্পে কোনওরকম কাজ দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকরা এই কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকী সরকারি অর্থ তছরুপ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন- 'রাজ্যের পরিস্থিতি জেনেও তৃণমূল নেত্রী চুপচাপ বসে খেলা দেখছেন', জঙ্গিপুর সফরে মমতাকে আক্রমণ নিশীথের
এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুমিত সরকার। তিনি বলেন, "কাটমানির দল হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। গরীব মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এইভাবে সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। অবিলম্বে এলাকার জবকার্ড হোল্ডারদের কাজ দিতে হবে। আর ড্রেন তৈরির যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তা সঠিকভাবে ব্যয় করতে হবে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসনের তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।" ১০০ দিনের কাজ নিয়ে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাঁচল-২ ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস।