'অযথা মামলাকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করা হচ্ছে', ডিএ মামলায় সরকারের আচরণে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা

 নির্দিষ্ট সময়ের আগে রিভিউ পিটিশন কেন?  ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছ সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। অযথা মামলাকে দীর্ঘ করার জন্যই কি এই ধরনের পদক্ষেপ? উঠছে প্রশ্ন 

Ishanee Dhar | Published : Aug 29, 2022 6:15 AM IST / Updated: Aug 29 2022, 12:14 PM IST

নির্দিষ্ট সময়ের আগে  বকেয়া ডিএ মামলায় রিভিউ পিটিশন দায়ের ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছ সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। এই মর্মে ইতিমধ্যে কনফেডারেশ অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ-এর তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কনফেডারেশ অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
সম্প্রতি এই মর্মে নেট মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন মলয় মুখোপাধ্যায়। সেই পোস্ট সকল সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে পরবর্তী কর্মসূচি ব্যক্ত করেছেন। উক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আপনারা সকলেই জেনে গিয়েছেন সরকার গত ২০ তারিখের উচ্চ আদালতের ডিএ মামলার রায়কে উপেক্ষা করে নিদিষ্ট সময়ের আগেই গত ১৬ তারিখ  আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার শুনানি ছিল আগামীকাল।"
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু তারিখ এবং ঘটনাকে পর্যবেক্ষণ করলেই স্পষ্ট বোঝা যায় এধরনের পিটিশন দাখিল করার মূল উদ‍্যেশ‍্য যে মামলা কারিদের অসুবিধা সৃষ্টি করে মামলাটি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।"

আরও পড়ুনসুকন্যার নামে আরও সম্পত্তি! সিবিআই-এর নজরে এবার কেষ্ট-কন্যা


মলয় মুখোপাধ‍্যায় জানিয়েছেন বিচারক মাননীয় হরিশ ট‍্যান্ডন আগামী কাল থেকে ছুটিতে আছে বলে আগামীকাল মামলাটি কোর্টে ওঠার সম্ভাবনা নেই। 


উল্লেখ্য, হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৩১ শতাংশ বকেয়া ডিএ আগামী তিন মাসের মধ্যে মধ্যে মেটাতে হবে সরকারকে। শুধু তাই নয়, কর্মীদের জন্য ডিএ -র গুরুত্ব কতটা, সেটা বোঝানোরও চেষ্টা করছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এদিন উল্লেখ করেছিলেন, সরকারের মূল শক্তিই সরকারি কর্মচারীরা।তাঁদের ডিএ থেকে বঞ্চিত করা হলে, তাঁরা হতাশ হয়ে পড়বেন বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুনআরও সম্পত্তি সুকন্যা মণ্ডলের নামে, অনুব্রত-কন্যার বহু জমিজমার হদিশ পেল সিবিআই

প্রসঙ্গত, ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে সরকারি ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি হলেও সেই অনুপাতে রাজ্য সরকারী কর্মীরা ডিএ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছেন।ফলে প্রতিমাসে কর্মীদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়, একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে।  পরে ট্রাইবুনালের তরফে ডিএ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হলেও রাজ্যের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে। একাধিক বেঞ্চে ঘুরছে সেই মামলা। 

Share this article
click me!