বুধবার দুপুরেই বালুরঘাটে অবস্থিত দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার থানার দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
দুর্গা পুজোর (Durga Puja) আগেই মাথায় হাত! ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) থেকে গায়েব প্রায় ২ লক্ষ টাকা। বালুরঘাট (Balurghat) শহরের বুড়ি কালিতলা এলাকার ঘটনা। বিষয়টি নজরে আসতেই সাইবার ক্রাইমের (Cyber Crime) দ্বারস্থ ওই মহিলা। বুধবার দুপুরেই বালুরঘাটে অবস্থিত দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) সাইবার থানার দ্বারস্থ হন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ (Police)।
জানা গিয়েছে, বুড়ি কালিতলা এলাকার বাসিন্দা মীনা ঘোষ কর্মকার। অনেক দিন আগেই তাঁর স্বামী কার্তিক কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আর ব্যাঙ্কের পাশবই আপডেট করাননি তিনি। কয়েকবার ব্যাঙ্কে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু বই আর আপডেট করানো হয়নি। এর ফলে অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে তা বুঝতেও পারেননি।
আরও পড়ুন, Mahalaya: আজ মহালয়া, ভোর রাত থেকেই শুরু তর্পণ, কড়া নিরাপত্তা বাংলার ঘাটগুলিতে
অবশেষে মঙ্গলবার ওই ব্যাঙ্কের পাশবই আপডেট করাতে যান মীনাদেবীর মেয়ে কেয়া কর্মকার। আপডেট করার পর ব্যাঙ্কে টাকার পরিমাণ দেখে তাঁর চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। তিনি দেখেন, ব্যাঙ্কে ২ লক্ষর একটু বেশি পরিমাণ টাকা ছিল। কিন্তু, এখন তার থেকে মাত্র ৭ হাজার টাকা পড়ে রয়েছে। আর বাকি টাকা গায়েব।
আরও পড়ুন- বন্ধ হতে চলা পুজোর দায়িত্বে প্রমিলা বাহিনী, এগিয়ে এলেন সংখ্যালঘু মহিলারাও
এরপরই মীনার পরিবারের তরফে বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। আর সেই অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ঘাটালে এখন 'দুয়ারে' নদী, বাড়ির সামনে প্লাবনের জলে তর্পণ স্থানীয়দের
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল বলেন, "রাষ্ট্রায়ত্তে ব্যাঙ্কে মীনা কর্মকারের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে তিনি ব্যাঙ্কের পাশবই প্রিন্ট করানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, সব সময়ই তাঁকে ব্যাঙ্ক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে আজ হবে না, কাল হবে না। এই বলে ঘোরানো হচ্ছিল তাঁকে। তারপর মঙ্গলবার বই আপডেট করান তাঁর মেয়ে। এরপর দেখেন অ্যাকাউন্টে মাত্র সাত হাজার টাকা পড়ে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি কান্নাকাটি শুরু করেন। এরপর ব্যাঙ্কে ফোন করেন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের তরফে একটি স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে প্রতিমাসে কখনও এক হাজার, কখনও তিন হাজার এইভাবে একটু একটু করে টাকা কেটে নিয়েছে পার্চেস বলে কোনও এক কোম্পানি। তবে তাঁর কাছে এতদিন কোনও ওটিপি আসেনি। তিনি কারও সঙ্গে তা শেয়ারও করেননি। কীভাবে এটা হল তা বোঝাই যাচ্ছে না।"