প্রবল বৃষ্টিতে অশোকনগরে তেলের খনি জলমগ্ন। ডুবে গেছে প্রচুর টাকার যন্ত্রপাতি। চিন্তা বাড়ছে ONGC-র।
টানা বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন উত্তর ২৪ পরগানর বিস্তীর্ণ এলাকা। জেলার অশোকনগর পৌরসভা এলাকায় রয়েছে সদ্য সন্ধান পাওয়া একটি তেলের খনি। প্রবল বর্ষণে সেই তেলের খনিও এখন জলমগ্ন। খনিটি রক্ষাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ওএনজিসি (ONGC)। কিন্তু বর্ষার জল জমে থাকায় প্রায় ব্যহত রয়েছে কাজকর্ম। সংস্থার কয়েক কোটিটাকা মূল্যের সরঞ্জামও রয়েছেন জলের তলায়। যা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে।
এই ছবিটি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর পৌরসভার 22 নম্বর ওয়ার্ডের বাইগাছি শ্রমলক্ষ্মী কলোনী এলাকায় ওএনজিসির। দীর্ঘ কয়েক বছর গবেষণার পর ওই এলাকায় তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যা অন্যান্য খনির থেকে পাওয়া অনেক উন্নত মানের জানিয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রাংশ এখন জলের তলায়, দুদিনের ভারী বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে বিপাকে ওএনজিসি। কোথাও কোমর কোথাও গলা পর্যন্ত জল। জল ঢুকেছে খনির ভিতরেও। যাতায়াতের পথ আর জলের তলায়।পাশাপাশি এই ওএনজিসি প্রজেক্ট এর চারিদিকে যে সমস্ত চাষের জমি ছিল তার জলের তলায় স্বভাবতই ওএনজিসি এর পাশাপাশি ক্ষতির মুখে স্থানীয় চাষিরা।জল জমার জন্য এই মুহূর্তে কাজ বন্ধ আছে ওএনজিসির।জল জমার ব্যাপারে ওএনজিসির কর্মকর্তারা ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও এক কর্মী জানান কাজ বন্ধ আছে এবং ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর পরিমাণে হয়েছে।
চা বিক্রেতার রূপে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র, তাঁর তৈরি এক কাপ চায়ের দাম ১৫ লক্ষ টাকা
ছবিতে দেখুন কলকাতার জল যন্ত্রণা, ঢুবে গেল বাস- ভাসছে টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ড
বিমান হামলায় তছনছ তালিবান ঘাঁটি, এয়ারস্ট্রাইকের ভিডিও শেয়ার করল আফগানিস্তান সরকার
২০১৮ সালে এই এলাকায় তেলের খটিনি আবিষ্কার হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গে সন্ধান পাওয়া প্রথম খনিজ তেলের খনি। ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন পেট্রোলিয়ম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই খনি উদ্বোধন করেছিলেন। অশোকনগরে গ্যাস ও তেলের সন্ধানের জন্য ২০০৯ সালে ওএনজিসি-ওয়েল ইন্ডিয়া ব্লক পায়। প্রথমে সাড়ে তিন একর জমির ওপর কুয়ো খনন করে খনিজ তেলের সন্ধান শুরু করে। ২০১৪ সালে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছিল। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার আগেই এই এলাকায় খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তেলেন সন্ধানের জন্য মোট পাঁচটি কুয়ো খোঁড়া হয়েছিল। তৃতীয় কুয়ো খোঁড়ার সময়ই সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে মজুত গ্যাস রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সাংস্থাটি। কিন্তু বর্তমানে গোটা এলাকা জলমগ্ন থাকায় কর্তৃপক্ষের চিন্তা আরও বাড়ছে। এই এলাকায় প্রায় ১০০ টি কুপ খনন করে তেল উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩.২ কিলোমিটার নিচেই রয়েছে প্রকৃতিক গ্যাস আর তেলের বিপুল সম্ভার।