আইএনআই পরীক্ষায় বসেছিলেন দেশের প্রায় ৮০ হাজার চিকিৎসক। সেই পরীক্ষা হয়েছিল জুলাই মাসে। ওই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে দিল্লির এইমসে (সার্জারি) ভর্তি হয়েছিলেন অমর্ত্য। কিন্তু, সেখানেই নিজেকে থামিয়ে রাখতে চাননি তিনি। সেই কারণেই সেপ্টেম্বরে হওয়া নিট-পিজি পরীক্ষাতেও বসেন তিনি। এই পরীক্ষাতেও প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
এমবিবিএস (MBBS) চিকিৎসকদের (Doctor) স্নাতকোত্তরের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার (Entrance Examination) দু’টি ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা উঠল বাংলার (Bengal) মাথায়। প্রথম হয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College) সদস্য হওয়া চিকিৎসক অমর্ত্য সেনগুপ্ত (Amartya Sengupta)। 'ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল ইম্পর্ট্যান্স-কম্বাইন্ড এন্ট্রান্স টেস্ট' (INI) পরীক্ষাতে প্রথম হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি 'নিট-পিজি' পরীক্ষাতেও নিজের স্থান সবার শীর্ষে ধরে রেখেছেন। আর এভাবে দুটি পরীক্ষায় প্রথম স্থান (First Place) অধিকার করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।
এমবিবিএস পাশ করার পরে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য ওই দুটি পরীক্ষা দিতে হয় পড়ুয়াদের। দিল্লির এইমস, পুদুচেরির জিপমার মেডিক্যাল কলেজ এবং পিজিআই চণ্ডীগড়ে ভর্তির জন্য আইএনআই প্রবেশিকা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। আবার অন্য কলেজে ভর্তির জন্য রয়েছে ‘নিট-পিজি’ প্রবেশিকা পরীক্ষা। এই দুটি পরীক্ষাতেই বসেছিসলেন হুগলির ব্যান্ডেলের বাসিন্দা অমর্ত্য। আর দুটি পরীক্ষাতেই প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন- সকাল সকাল ইভিএম কারচুপির অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার, মিথ্যে বলে দাবি ফিরহাদের
এবার আইএনআই পরীক্ষায় বসেছিলেন দেশের প্রায় ৮০ হাজার চিকিৎসক। সেই পরীক্ষা হয়েছিল জুলাই মাসে। ওই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে দিল্লির এইমসে (সার্জারি) ভর্তি হয়েছিলেন অমর্ত্য। কিন্তু, সেখানেই নিজেকে থামিয়ে রাখতে চাননি তিনি। আরও এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আর সেই কারণেই খানিক জোর করেই নিজের সেপ্টেম্বরে হওয়া নিট-পিজি পরীক্ষাতেও বসেন তিনি। সেখানে প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার চিকিৎসক এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। সেখানেও শীর্ষস্থান ধরে রাখেন অমর্ত্য। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ফের এই পরীক্ষা প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
অমর্ত্যর বাবা হলেন আইনজীবী, জেঠু চিকিৎসক। আর মা গৃহবধূ। মায়ের জন্যই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। আর এভাবে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারাটাই তাঁর কাছে সবথেকে বড় বিষয় বলে জানিয়েছেন। তাঁর এই সাফল্যে খুশি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে বলেন, "অমর্ত্যর জন্য আমরা গর্বিত। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছিল সে। এভাবেই কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে সে সাফল্য পেয়েছে।"
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, "দু’টি পরীক্ষাতেই দেশের মধ্যে প্রথম হওয়ার জন্য ওঁকে অনেক অভিনন্দন। বাংলার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।"