ছটের থালায় বিভিন্ন কাঁচা সব্জী সাজিয়ে অর্ঘ্য দেন ছটব্রতীরা। বাজারে সেই সমস্ত সব্জীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
গত বছর করোনার প্রকোপে(Corona Situation) ছটের (Chhath puja 2021) বাজার সেইভাবে জমেনি। কিন্তু এবার বাজার (Chhath pujo shopping) ভালো হওয়াতে হাসি ফুটেছে বিক্রেতাদের মুখে। বুধবার সূর্যাস্ত দিয়ে হবে ছটের প্রথম অর্ঘ্য, বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যোদয় দিয়ে সম্পন্ন হবে ছট পুজো। তারই প্রস্তুতিতে গোটা রাজ্য। বুধবার সকাল থেকে পুরুলিয়ার (Purulia) রেল শহর আদ্রা সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে চোখে পড়ল শেষ মুহূর্তে কেনা বেচার ছবি। ছটের থালায় বিভিন্ন কাঁচা সব্জী সাজিয়ে অর্ঘ্য দেন ছটব্রতীরা। বাজারে সেই সমস্ত সব্জীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতাদের দাবি এই বার প্রথম থেকেই বাজার খুবই ভালো। বিক্রি ভালো হচ্ছে। ওই সমস্ত বিক্রেতাদের দাবি গত বছর করোনার প্রকোপে বাজার ছিল খুবই মন্দা। এইবার বাজারের হাল কিছুটা ফিরেছে। গতবারের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া যাবে। তবে বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানান বাজারে ছটের ডালা সাজানোর সামগ্রী সহ পুজোর অন্যান সামগ্রী সবকিছুরই দাম অত্যন্ত চড়া। বাজারে পছন্দসই জিনিষ পত্র কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
অপরদিকে আড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তুফান রায় ছট পুজোর শুভকামনা জানিয়ে সকল ছট ভক্তদের সুবিধার্থে দায়িত্ব সহকারে শেষ মুহূর্তে পুকুর ঘাট পরিষ্কারের কাজ তদারকি করেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরে ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ছট পুজোর খরনা অনুষ্ঠান, তারপরে ছট পুজো। ছট পুজোর বিশেষ কিছু রীতি রয়েছে। ছট পুজো শুরুর দিন বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়। সেদিন সকলে নিরামিষ খান সকলে। এর ঠিক পরেরদিন করতে হয় উপোস। নির্জলা উপোস করে সন্ধ্যায় ক্ষীর ভোগ খেয়ে উপবাস ভাঙেন। তৃতীয় দিন গঙ্গা বা নদীতে সূর্যদেবের পুজো করেন। সেদিনই পুজোর সমাপ্তি হয়। এই পুজোয় প্রসাদ হিসাবে ঠেকুয়া বিতরণের বিশেষ রীতি আছে।
কার্তিক শুক্লা চতুর্থী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত, চারদিন ধরে চলে ছট পুজো। ছট পুজো বছরে দু'বার হয়। একবার চৈত্র মাসে এবং আর একবার হয় কার্তিক মাসে। পুরাণ অনুসারে, ছট পুজো হল সূর্য পত্নী ছটি মাইয়ার পুজো। এই ছট মাতাকে ঊষাও বলা হয়। এখন অনেক ঘাটেই সূর্য ও ঊষার মন্দির থাকে। অনেকেই ছট পুজোর দিন সেই মন্দিরে পুজো করে থাকেন। পঞ্জিকা মতে, এবার ১০ নভেম্বর ছটপুজো। ছটপুজোয় ৩৬ ঘন্টা কঠোর ব্রত পালন করতে হয়। সুখ-সমৃদ্ধির জন্য অনেকেই ছট পুজো করেন।
ছট পুজো জলাধারে গিয়ে হয়ে থাকে, সেই কারণেই প্রতি বছরই গঙ্গার ঘাট থেকে জলাধার গুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। দূষণ রুখতে তবে এবার বন্ধ রবীন্দ্র সরোবর। প্রতি বছরই সেখানে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান তবে এবার দূষণ রুখতে বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর। ছট পুজোর জন্য তবে কলকাতায় ১৩২ টি ঘাট তৈরি রয়েছে, ছট পুজোর আগে ঘাট পরিদর্শনে এমনটাই জানিয়ে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
NSA level meet-পাকিস্তান-চিন কোণঠাসা,ভারতের উদ্যোগে নিরাপত্তা ইস্যুতে এককাট্টা সাত দেশ
Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী
Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও
এছাড়াও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান ফিরহাদ। ছট পুজোয় তবে রবীন্দ্র সরোবর যেতে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। প্রতিটি ঘাটে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। করোনার কথা মাথায় রেখে দূরত্ব বজায় রেখে ছট পুজোর কথা বললেন ফিরহাদ। এছাড়াও মহিলাদের জন্য প্রতিটি ঘাটে থাকছে লেডিস চেঞ্জিং রুম।