ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটির হাওড়া শাখার উদ্যোগে হাওড়ায় তৈরি হওয়া জেলার একমাত্র শিশু হাসপাতালে এবার চালু করা হলো ইনডোর বিভাগ। এই হাসপাতালের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়।
শিশুদের ভ্যাকসিন (Vaccine) চালু হওয়ার আগেই চালু হল শিশু হাসপাতাল (children hospital)। রাজ্যে ধীরে ধীরে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়েসীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে তার আগেই চালু হল শিশু হাসপাতাল। হাওড়া (Howrah) শহরে শুধুমাত্র শিশুদের (Children) জন্য শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এতদিন ছিল না। তাই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় চালু হলো শিশু হাসপাতাল।
ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটির হাওড়া শাখার উদ্যোগে হাওড়ায় তৈরি হওয়া জেলার একমাত্র শিশু হাসপাতালে এবার চালু করা হলো ইনডোর বিভাগ। এই হাসপাতালের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তিরিশ শয্যা বিশিষ্ট এই শিশু হাসপাতালে সামান্য খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে।
সংস্থার হাওড়া শাখার সম্পাদক সুজয় চক্রবর্তী জানান এবার শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য অন্যত্র যাবার প্রয়োজন নেই। আগেই এখানে আউটডোর বিভাগ চালু হয়েছিল। এবার ইনডোর বিভাগ চালু হল। এখানে জটিল অস্ত্রোপচার থেকে অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে।
এদিকে, পয়লা জানুয়ারি থেকে কোউইন অ্যাপেই হবে শিশুদের টিকার রেজিস্ট্রেশন। এর আগে জানা যায়, তেসরা জানুয়ারি, ২০২২ থেকে শুরু হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ। এমনই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
CoWIN প্ল্যাটফর্মের প্রধান আরএস শর্মা জানান, ১৫-১৮ বছর বয়সী শিশুরা পয়লা জানুয়ারী থেকে CoWIN অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি অতিরিক্ত আইডি কার্ড যুক্ত করা হয়েছে। স্টুডেন্ট আই কার্ডকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য মান্যতা দেওয়া হবে। কারণ ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়েসী অনেকের কাছেই আধার বা অন্য কোনো পরিচয়পত্র নাও থাকতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, মহামারি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ওমিক্রন সংক্রমণের চূড়ান্ত রূপ দেখা যাবে। তবে তা মাত্র একমাসই স্থায়ী হবে বলেও অনুমান করছেন তাঁরা। তার আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্র প্রত্যেক নাগরিকের কাছে বুস্টার ডোজ পৌঁছে দিতে চাইছে। তবে তারও আগে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের দিতে চাইছে ভ্যাকসিন।
এদিকে, সপ্তাহের শুরুতে অনেকটা স্বস্তি দিয়ে রাজ্যে কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। সপ্তাহের শুরুতে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কম। সাড়ে ৪০০-র নিচে নেমে গিয়েছে সংক্রমণ। যদিও গত সপ্তাহের শেষের দিকে সেই সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। আর সপ্তাহের শুরুতে ফের কমল সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কারণ রাজ্যের নিরিখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি কলকাতায়। আজও সেখানে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-র উপরে রয়েছে। তালিকায় তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও হাওড়া।