মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগ থেকে পুলিশর্মীদের সরানোর উদ্যোগ নিল কর্তৃপক্ষ। যে ঘরে পুলিশকর্মী থাকতেন, সেখানে চালু করা হবে প্রসূতি বিভাগ।
আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে 'কল্পতরু' দিদি, চার প্রকল্পে বাজিমাত মমতার
একদিনের সফরে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ ময়দানে জনসভার পর বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ছয়তলায় প্রসূতি বিভাগ রাখা যাবে না। জরুরি বিভাগের পাশে প্রসূতিদের জন্য আলাদা একটি ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। কিন্তু জায়গা কোথায়! জরুরি বিভাগের পাশে একটি ঘরে দীর্ঘদিন ধরেই তো ক্যাম্প করে থাকেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনাটি জানার পর একদিনের মধ্যে ওই পুলিশ ক্যাম্পটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তিনদিনের মধ্যেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে জরুরি বিভাগের পাশে প্রসূতি বিভাগ চালু করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরভোটের আগে বড় ঘোষণা, কর্মসাথী প্রকল্পে টাকা দেবে রাজ্য়
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ মুখ্য়মন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, যে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি বিভাগের একটি ঘরে পুলিশকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুবই সামান্য জায়গা নিয়ে থাকেন তাঁরা। প্রয়োজনেও ওই ঘরটি প্রসূতিদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেকথা শুনতে রাজি হননি। কী করা যাবে! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে জরুরি বিভাগ থেকে পুলিশকর্মীদের সরানোর উদ্যোগ নেন কর্তৃপক্ষ