ক্রেতা সুরক্ষা দফতের মেলায় খরচ হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তিন দিনের মেলায় খরচ হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন অফিসারই এই মেলার আয়োজন করেছিলেন। তারাই নাকি সব বলতে পারবেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই জনসভা ও প্রশাসনিকসভাগুলিতে বলে থাকেন রাজ্যের হাতে অর্থ খুবই সীমিত। তারপরও একাধিক প্রকল্প তাঁকে চালাতে হচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ শাসক দল রাজ্যকে ঋণের বোঝার ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই তরজার মধ্যেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মেলার খরচ নিয়ে। যার মোট খরচ নাকি ছাড়িয়ে গেছে এক কোটি টাকা। কিন্তু কী এমন খরচ হয়েছে এই দফতের মেলায়- তার অবশ্য বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি মন্ত্রী মানস ভুইয়া।
সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানান হয়েছে মেলায় আসা অতিথি-অভ্যাগতদের চা আর জলখাবারের পিছনেই খরচ হয়েছে বারো লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার জন্য বরাদ্দা ছিল ৯ লক্ষ টাকা। মেলার জন্য শুধুমাত্র সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপণ দিতেই খরচ হয়েছে ৭৫ লক্ষ টাকা। আর টেলিভিশন বিজ্ঞাপণ বাবদ খরচ হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা। হোডিং, চেয়ার-টেবিল, বিদ্যুতের জন্য বরাদ্দ ৫০ লক্ষ টাকা। আর অতিথিদের উপহার দেওয়ার জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ টাকা। মোট খরচ হয়েছে প্রায় পরিমাণ ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।
এক নজরে খরচের তালিকাঃ
সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপণ ৭৫ লক্ষ টাকা
টিভিতে বিজ্ঞাপণ ৮ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা
চা ও জলখাবার ১২ লক্ষ ২১ হাজার টাকা
উপহারের খরচ ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা
মোট খরচ ১ কোটি ৫৮ ৬৯ হাজার ৭০০ টাকা
সম্প্রতি বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্যের আয় নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানেই তিনি রাজ্যের আয় বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছেন। ব্যায়ের ওপর লাগাম টানার পরামর্শও দিয়েছেন।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করা হয়েছে। এই মেলায় প্রচুর অতিথি এসেছিলেন। তাদের ডাকা হয়েছিল। সেই কারণে উপহার দেওয়া ও খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন এই মেলার দায়িত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ অফিসাররা। তারা দীর্ঘ দিন ধরেই এই মেলা করে আসছেন। সেই জন্যই তারাই এই বিষয়ে ভালো কথা বলতে পারবেন।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতর প্রচুর মানুষকে সচেতন করে। আর সেইজন্যই এই মেলার প্রয়োজন খুবই বেশি। কিন্তু বাজেট ছাঁটা যেত কিনা সেই বিষয় প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী কিছুটা এড়িয়ে যান।
রাশিয়ার সামরিক কৌশল পরিবর্তন, পোল্যান্ডে প্রথম ইউক্রেনীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক বাইডেনের
সংসদে সরব সৌমিত্র খাঁ, বীরভূম থেকে বিধানসভা ইস্যু তুলে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি বিজেপির