শুধু কলকাতা নয় মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে জেলাগুলিতেও। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে,৩৬তম সপ্তাহে ২০১৭ সালে আক্রান্ত হন ৮৪৪ জন এবং ২০১৮ সালে ১৩০৪ জন।
পুজোর সময় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। রাজ্যের একাধিক জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের গোড়ায় সংক্রমণের প্রকোপ রীতিমত চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার ছুঁইছুঁই। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই সংখ্যা পৌঁছয় আট হাজারে। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৭ থেকে ২০২১ -এই পাঁচ বছরে (২০১৯ বাদ দিলে) এবছরই ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রকোপ সব থেকে বেশি।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বারাসতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। কেবল বারাসতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮ জন। বারাসত ১২ নম্বর গেট সংলগ্ন মনোরমা মার্কেট চত্ত্বরে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকা ও যেখানে সেখানে জল জমে থাকাই এই সংক্রমণের বারবারন্তের কারণ হিসেবে বলছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন - ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে, পুজোর আগে কি আরও ভয়াবহ হবে পরিস্থিতি?
শুধু কলকাতা নয় মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে জেলাগুলিতেও। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে,৩৬তম সপ্তাহে ২০১৭ সালে আক্রান্ত হন ৮৪৪ জন এবং ২০১৮ সালে ১৩০৪ জন। ২০২০ সালে অতিমারির সময় বেশ খানিকটা কমেছিল মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ। ২০২০ সালে ৮৬ জন ও ২০২১ সালে ১৪১ জন আক্রান্ত হন। শেষ দুই বছরের মোট আক্রান্তের তুলনায় আট গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে চলতি বছরের ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন - বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, জেনে নিন কীভাবে মোকাবিলা করবেন এই রোগের সঙ্গে
শেষ কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতও এই সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। আগামী দু'মাসও থাকবে ডেঙ্গির প্রকোপ। ডিসেম্বর থেকে নিম্নমুখী হতে পারে সংক্রমণের গ্রাফ।
আরও পড়ুন - রবিবারের স্পেশ্যাল মেনুতে থাক দই কাবাব, জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই পদ