জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল রোগীর, ফের সাফল্যের নজির বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে

  • জটিল অস্ত্রোপচারে মিলল সাফল্য
  • রোগীর প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকরা
  • ফের সাফল্যের নজির বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে
  • প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোগীর বাড়ির লোকেরা
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 8, 2020 1:17 PM IST

অগ্ন্যাশয়ে টিউমার, সফল অস্ত্রোপচারের পর এখন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রোগী। ফের সাফল্যের নজির গড়লেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোগীর পরিবারের লোকেরা। 

আরও পড়ুন: কোভিডে অচল মমতার পিপিই হাসপাতাল, বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ চিকিৎসক নার্সদের

ক'দিন আগে পর্যন্ত ছিল গ্রিনজোন। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে বাঁকুড়ায়ও। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৫০ জন। কিন্তু ঘটনা হল, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যখনরাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে জটিল অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে, তখন একমাত্র ব্য়তিক্রম বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজ। লকডাউন  পর্বে ১৭ জন রোগীর অস্ত্রোপচার করেছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। একজনকে অবশ্য বাঁচানো যায়নি বলে জানা গিয়েছে।

পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা নিখিল মণ্ডল। বয়স ৪২ বছর। মাস খানেক আগে হঠাৎ পেটে ব্যাথা শুরু হয় তাঁর। রোগীকে প্রথমে ভর্তি করা হয় পুরুলিয়ার স্থানীয় একটি হাসপাতালে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এরপর বাড়ির লোকেরা নিখিলকে নিয়ে চলে আসেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় সোমবার। চিকিৎসকরা যখন পেটে ব্যথার কারণ অনুসন্ধান করতে শুরু করেন, তখন অগ্ন্যাশয়ে টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টিউমারের জন্য জন্ডিসে আক্রান্ত হন নিখিল এবং তা থেকে পেটে ব্যাথা-সহ নানারকম সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। আর দেরি নয়, তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কুকুরের কীর্তিতে বিজেপি-তৃণমূল তরজা, অর্জুন সিং-এর ব্য়ানার ছিঁড়ল কে, দেখুন ভিডিও

হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর এখন ভালো আছেন নিখিল মণ্ডল। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো বাড়িও ফিরে যাবেন তিনি। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতীম প্রধান বলেন, এই ধরণের অস্ত্রোপচার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।  শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। লকডাউন পর্বে এর আগে একাধিক জটিল অস্ত্রোপচার করেছেন তাঁরা।

Share this article
click me!