সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লি এলাকায় হানা দেয় ইডির একটি দল। সঙ্গে ছিলেন ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। তবে কী কারণে সুব্রতর বাড়িতে তল্লাশি চালান হয় তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে মুখ খোলেনি ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর চূড়ান্তগোপনীয়ভাবে গোটা বাড়িতেই তল্লাশি চালান হয়।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জালে পড়ল আরও এক জন। সোমবার সুব্রত মালাকার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তবে এই বিষয় ইডি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু জানান হয়নি। সূত্রের খবর স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্নকুমার রায় ও প্রদীপ সিংহের মত সুব্রত মালাকারও একজন মিডিলম্যান বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লি এলাকায় হানা দেয় ইডির একটি দল। সঙ্গে ছিলেন ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। তবে কী কারণে সুব্রতর বাড়িতে তল্লাশি চালান হয় তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে মুখ খোলেনি ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর চূড়ান্তগোপনীয়ভাবে গোটা বাড়িতেই তল্লাশি চালান হয়। দীর্ঘ তল্লাশির পরেই আটক করা হয় সুব্রত মালাকাররে। সেখান থেকেই সুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলঘরিয়ার একটি আবাসনে।
ইডি সূত্রের খবর প্রদীপ সিংহের মতই মিডিলম্যান হিসেবে কাজ করত সুব্রত মালাকার। এসএসসি পরীক্ষায় অযোগ্য প্রার্থী কিন্তু যারা টাকা দিয়ে চাকরি কিন্তে সক্ষম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এই মিডিলম্যানরা। তারপর তারাই শিক্ষাদফতরের কর্মী বা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিত। বিনিময় নিত প্রচুর টাকা। তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে এইসব মিডিলম্যানদের মাধ্যমে মোটা টাকা লেনদেন হত বলেও মনে করছেন আধিকারিকরা।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে। অর্পিতার একাধিক আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে রাশি রাশি টাকা। তদন্তকারীদের অনুমান এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। জট খুললে আরও বেশ কয়েকজন রাঘববোয়াল জালে পড়বে বলেও মনে করছে তারা।
'ভগবানও ১০০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না', শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বিরোধীদের তোপ মমতার
দুর্গাপুজোর আগেই ফিরবে কলকাতার খারাপ রাস্তার হাল, মেরামতি পর্যবেক্ষণে স্বয়ং ফিরহাদ হাকিম
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেলাহায় গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই এলাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়নসভা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এই এলাকা থেকে দীর্ঘ দিনের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কেন্দ্রে এসেও পার্থ চট্টোপধ্য়ায়কে নিয়ে মুখ খুললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র বলেছেন আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে অনুব্রত প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। মমতা বলেন, অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেন? তিনি আরও বলেন, 'ও কিছু চায়নি, সাংসদ বিধায়ক হতেও চায়নি অনুব্রত। আমি ওকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তাতেই রাজি হয়নি অনুব্রত।' এখানেই শেষ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনুব্রতকে প্রত্যেকবার নির্বাচনের সময় নজরবন্দি করে রাখা হয়। যা অনৈতিক বলেও দাবি করেন তিনি।
অনুব্রতর কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বীরভূমের জেলা সভাপতির শারীরিক অবস্থা ও পরিবারের অবস্থার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ অনুব্রত। স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল। কলকাতা ও বোলপুর যাতায়াত করত। কিন্তু অনুব্রত এতটাই দলের প্রতি অনুগত যে সেই সময়ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে মন দিয়েছিলেন। তারপরেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মমতা এদিন বলেন বিচারাধীন বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। কিন্তু আইন আইনের পথে চলবে।