Elephant Attack: হাতির তাণ্ডবে নষ্ট জমির ধান, বনদফতরের কর্মীদের কাজে বাধা ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের

স্থানীয়দের অভিযোগ হাতির পাল বিঘের পর বিঘে জমির ধান নষ্ট করে দিচ্ছে।  অথচ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বনদফতর কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে না।

Asianet News Bangla | Published : Nov 11, 2021 11:24 AM IST / Updated: Nov 11 2021, 05:02 PM IST

হাতি (Elephant) তাড়াতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বনদপ্তরের কর্মীরা (Forest Worker)। পূর্ব বর্ধমানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এক দল হাতি তাণ্ডব (Elephant Attack) চালায় গলসি, আউসগ্রামসহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।  তারপরই হাতির পাল হানাদেয় হরিপালে। সেখানে হাতি তাড়াতে গিয়েই বিক্ষোভে মুখে পড়তে হয় বনকর্মীদের। 

স্থানীয়দের অভিযোগ হাতির পাল বিঘের পর বিঘে জমির ধান নষ্ট করে দিচ্ছে।  অথচ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বনদফতর কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে না। তাই বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আউসগ্রামের নওয়াদার গ্রামের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,  বনদপ্তরের কর্মীরা হাতিগুলিকে তাড়ানোর ফলে বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট হচ্ছে। 

Chennai Rain: বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ুতে মৃত ১৪, চেন্নাই বিমান বন্দর থেকে বন্ধ উড়ান
জেলার অতিরিক্ত বনাধিকারিক সারথী সাহা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পরে বনদপ্তরের কর্মীরা হাতিগুলিকে সরানোর কাজ করতে পারছে না। তিনি আরও জানান, যেসমস্ত জমির ধান নষ্ট হয়েছে বনদপ্তর থেকে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু গ্রামবাসীরা সেটা বুঝতে চাইছেন না। ফলে  হাতিগুলিকে এখান থেকে সরিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যাওযা যাচ্ছে না। হাতিগুলি লোকালয়ে থাকলে গ্রামবাসীদের ক্ষতি হতে পারে। এই মূহুর্তে ৪৮ টি হাতি এই দলে রয়েছে যার মধ্যে ৭ টার বেশি বাচ্চা হাতি রয়েছে বলে জানান সারথী সাহা। 

Anti Covid Pills: কোভিড চিকিৎসায় গেমচেজ্ঞার হতে পারে মলনুপিরাভির ট্যাবলেট, ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে বাঁকুড়া থেকে দামোদর নদী পেরিয়ে গলসিতে পড়ে ঢুকে পড়ে চল্লিশ আটচল্লিশটি হাতির একটি দল। হাতির আক্রমণে গলসির শিড়রাই গ্রামের শেখ সিরাজুল হক নামে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। হাতির পায়ে বিঘার পর বিঘা জমির ধান মাড়িয়ে দেওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে গলসি ও আউশগ্রামের  চাষিদের।

Chhat Pujo: ছট পুজোয় সামিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, কোভিড বিধি মেনে উৎসব পালনের আর্জি

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ মাঠে ধান পেকে গেছে। ঘরে তোলার সময় হয়েছে। কিন্তু এই সময় হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমির ধান। তাই আগামী দিনে স্থানীয় কৃষকদের আর্থিক সংকটে পড়়তে হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। বনদফতরও স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীদের ক্ষতিপুরণের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু তাতে এখনও পর্যন্ত ভরসা করতে পারছে না স্থানীয়রা। অন্যদিকে খাবার সন্ধান পেয়ে হাতির দলও এলাকা ছাড়তে নারাজ। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে বলেও আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। 

Share this article
click me!