ক্রমশ বাড়ছে তালিকা, ভুয়ো আইপিএস ও সিবিআই গ্রেফতার কলকাতায়

ভুয়োদের ছড়াছড়ি রাজ্যে। পুলিশের জালে রোজই ধরা পড়ছে ভুয়ো সিবিআই, আইএএস ও আইপিএস অফিসার। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে দিয়ে শুরু হয়েছিল এই তালিকা। তারপর ধীরে ধীরে সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন অনেকেই। 

Asianet News Bangla | Published : Jul 27, 2021 2:49 PM IST

কলকাতা থেকে এবার গ্রেফতার করা হল ভুয়ো আইপিএসকে। ধৃতের নাম রাজর্ষি ভট্টাচার্য। নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। তাঁর গাড়ির চালক ও নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের আর প্রান্ত থেকে এক ভুয়ো সিবিআই আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নোয়াপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক দম্পতির থেকে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

আরও পড়ুন- বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে তৎপরতা, কাল মমতার কথা হতে পারে সনিয়া গান্ধী ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে

 

ভুয়োদের ছড়াছড়ি রাজ্যে। পুলিশের জালে রোজই ধরা পড়ছে ভুয়ো সিবিআই, আইএএস ও আইপিএস অফিসার। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে দিয়ে শুরু হয়েছিল এই তালিকা। তারপর ধীরে ধীরে সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন অনেকেই। 

আরও পড়ুন- স্কুলে দেখা স্বপ্ন হল সফল, ১.৮ কোটি টাকায় গুগলে চাকরি পেলেন হেডমাস্টারের ছেলে জীতেন্দ্র

এবার খাস কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হল ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষিকে। তাঁর ডাক নাম বাবাই। বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে পি সি ব্যানার্জি লেনে। পুলিশ সূত্রে খবর, আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির থেকে দুই লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার ভিত্তিতেই গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

 

 

যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রাজর্ষির পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, রাজর্ষি একাজ করতে পারেন না। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিকে প্রতিবেশীরাও তাঁকে ভালো মানুষ হিসেবেই চিনতেন।

 

 

অন্যদিকে, ভুয়ো সিবিআই কৃশানু মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগুইআটির রঘুনাথপুর এলাকায় কৃশানুর বাড়ি। ২০১৬ সালে শিয়ালদহ আদালতে আইনজীবী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। এরপর দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। আইনজীবীর কাছে নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বজিতের স্ত্রীকে সিবিআই দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৪০ লক্ষ টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, টাকা নিয়ে প্রায় বেপাত্তা হয়ে যান কৃশানু। তারপরই তাঁর নামে বরানগর থানায় এফআইআর দায়ের করেন ওই আইনজীবী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে নোয়াপাড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছেন কৃশানুকে। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল নিয়োগপত্র ও ভুয়ো নথি।
 

Share this article
click me!