পরীক্ষা না করিয়েই করোনা পজিটিভ চারজন, কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দপ্তর

  • করোনা আতঙ্কের মাঝে নয়া বিপত্তি
  • পরীক্ষা না করিয়েই রিপোর্ট পজিটিভ চারজনের
  • স্বাস্থ্য দপ্তরের 'গাফিলতি'তে এলাকায় আতঙ্ক
  • তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক
     

Asianet News Bangla | Published : Aug 17, 2020 10:32 AM IST

কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ:  পরীক্ষা না করিয়েই করোনা পজিটিভ! স্বাস্থ্য দপ্তরের 'গাফিলতি'তে এবার আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি, উদ্বেগ বাড়ল মালদায়

দেখতে দেখতে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে চলেছে। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরে। স্রেফ রায়গঞ্জে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তিনশোর বেশি মানুষ। গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হবে না? আশঙ্কা বাড়ছে ক্রমশই।

জানা গিয়েছে, গোয়ালপোখর ২ নম্বর ব্লকের বেলন গ্রাম পঞ্চায়েত ৭০ জনের নাম করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কারোও বাড়ি চাপর গ্রামে, তো কেউ আবার রামপুরের বাসিন্দা। চাঁদনিচক গ্রামেরও বেশ কয়েকজনের নাম ছিল তালিকায়। কিন্তু সকলেই যে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দিয়েছিলেন ৭৩ জন। বাকি সাতজন পরীক্ষাই করাননি। অথচ তাঁদের মধ্যে চারজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে! ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

আরও পড়ুন: প্রয়াত করোনা আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস, শোকের ছায়া এগরায়

যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাঁদের একজন ফিরোজ আলম। তিনি বলেন, 'টেস্ট করানোর জন্য লিস্টে নাম লিখিয়েছিলাম। কিন্তু সেদিন ভিড় থাকায় কাজে চলে যাই। পরবর্তীতে জানা যায়, আমার রিপোর্ট পজিটিভি এসেছে। এলাকার সকলেই তা জেনেও গিয়েছেন। ঘর থেকে বেরিয়ে পারছি না, ব্যবসা লাটে উঠেছে।' ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তহক আলম। পঞ্চায়েতের তরফে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য় আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান। বিজেপি-এর উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, 'এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কীভাবে কাজ করছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর! আমরা তাই রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যকে ভুল বলে দাবি করেছিলাম।'

Share this article
click me!