২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালকে এই নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ধোনির পর এবার পর্দায় বাংলার দাদা, সৌরভের বায়োপিক তৈরি করতে সম্ভাব্য বাজেট কত
একুশের বিধানসভা ভোট শেষ হওয়ার পরই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ আসে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় কর্মীদের উপর তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এদিকে ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এরপরই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।
আরও পড়ুন- শিক্ষামন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ, গ্রেফতার ব্যবসায়ী
কিছুদিন আগে এই মামলার শুনানির সময় অভিজিতের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, আদালতে বিশ্বজিৎ সরকার জানিয়েছিলেন, ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। দেহ যে অভিজিতের তা নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। এরপরই ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
আজ শুনানির সময় হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, অভিজিতের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। কলকাতার কমান্ড হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহ করবে। সেই নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া হবে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেখানেই হবে পরীক্ষা। ঠিক এক সপ্তাহ পর মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট আদলতে পেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন- 'দাদা' বলে ডাক, তারপরই সব শেষ, মঙ্গলকোটে খুন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি
পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার যে খবর উঠে আসছিল তা তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকোর্ট। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে কমিশন। আজ সেই চূড়ান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করা হয়। কয়েকদিন আগে প্রাথমিক একটি রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করেছিল কমিশন। তার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসায় জখমদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। যাঁদের রেশন কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের রেশনের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল। যদিও তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জুলাই।