সরকারি তদন্ত নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। দিলীপের দাবি হিম্মত থাকলে সিবিআই তদন্ত চেয়ে দেখাক রাজ্য।
আনিস কাণ্ডের তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর মুখ্যসচিব ও ডিজির নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে সরকারি ভাবে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র হিন্দোল। কিন্তু তারমাঝেই এবার সরকারি তদন্ত নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে(BJP's all-India co-president Dilip Ghosh)। দিলীপের দাবি হিম্মত থাকলে সিবিআই তদন্ত চেয়ে দেখাক রাজ্য। তিনি এও বলেছেন আনিসের পরিবারও তো সিবিআই চাইছে। এরপরও সিবিআই তদন্ত হলে অসুবিধে কোথায়? প্রশ্ন বিজেপি নেতার।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা দাবি করছি সিবিআই তদন্ত হোক, তবেই নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া সম্ভব। কিন্তু সিবিআই- এর নাম শুনলেই মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে জ্বর আসে।সন্দেহ জনক পরিস্থিতিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে, তার সত্যতা সামনে আসা উচিৎ।” একইঙ্গে এই ইস্যুতে সিপিএম-র বিরুদ্ধে কায়েমী রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “এটা নিযে সিপিএম রাজনীতি শুরু করেছে। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। সন্দেহ থাকলে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেছেন সরকার যত লুকোবার চেষ্টা করবে ইসু্যটা তত বড় হবে। এদিকে মৃত আনিস খানের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি।” একই সঙ্গে দেউচা-পচামি নিয়ে তিনি বলেন, "দেউচাতে এত কয়লা পাওয়া যাবে, হাজার হাজার কোটি লাভ হবে সরকারের। কিন্তু কবে সেখানে প্রকল্প হবে কেউ জানে না। বলছে জমি পাওয়া যাচ্ছে না। যারা বলেছিলেন জমি ছাড়বেন না। সেই সরকার আজকে জমি চাইতে যাচ্ছেন।"
অন্যদিকে সিট গঠনের পর ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। আমি ইতিমধ্যে কথা বলেছি। ডিজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা ফরেনসিক রিপোর্টের ব্যবস্থা করেছে। ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক। কোনও মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়।” অন্যদিকে সোমবার সকালেই হাওড়ার আমতায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। ছাত্রনেতার বাড়িতে যান ডিএসপি সুব্রত ভৌমিক। একইসাথে ইতিমধ্যেই আদালতে উঠে গিয়েছে ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যা মামলা। স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আর্জি গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন-বড়সড় ক্ষতির মুখে আমেরিকার গাড়ি নির্মান সংস্থা টেসলা, সংস্থার শেয়ার দরে ১০ হাজার কোটি ডলারের আকস্মিক পতন
আরও পড়ুন-Tesla Factory-টেসলার ওপর আমদানি শুক্ল কমানোর অনুরোধ, ভারতেই তৈরি হবে এই গাড়ি তৈরির কারখানা
ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “একটা কম বয়সের ছেলে, প্রতিবাদী ছেলে, ছাত্রনেতা খুন হয়েছে। এটা রাষ্ট্রীয় খুন। এনকাউন্টার নাকি পুলিশের পোশাকে তৃণমূলের গুণ্ডারা খুন? এটা পরে ঠিক করুক। কিন্তু বিচার চাই।” পাশাপাশি গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান বামপন্থী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা আদালতকে জানিয়েছি পুলিশ-ই খুন করেছে বলে আশঙ্কা। সরকারের তরফে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা চলছে। আদালত সরকারের বক্তব্য জানানোর জন্য বলেছে। সব দেখে মনে হচ্ছে শাসকদল এবং প্রশাসনের নির্দেশেই ঘটেছে।"