Birbhum: চোরা-বালির ব্যবসা, মাঠ দখল করে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা ঠিকাদারের

নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের কাহিনগর গ্রামের এক রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বালি ব্যবসা। 

Asianet News Bangla | Published : Nov 6, 2021 2:06 PM IST

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, রাজ্য সরকারের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খেলার মাঠ দখল করে স্তূপাকৃতি বালি মজুতের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকা এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় প্রতিবাদ করার সাহস পাছেন না বীরভূমের (Birbhum) এক গ্রামের বাসিন্দারা। ফলে মজুত অবৈধ বালি নিয়ে দিব্যি ব্যবসা চালাচ্ছেন গ্রামে। মাঠ দখল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় শিশু ও তরুণদের খেলাধূলার জন্য চলে যেতে হচ্ছে নদীর চরে। প্রধান অবশ্য বালি ব্যবসায়ীর পক্ষেই সাওয়াল করেছেন।

নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের কাহিনগর গ্রামের এক রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বালি ব্যবসা। এই গ্রামের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে বাঁশলৈ নদী। সেই নদীর ধারে সরকারি জায়গায় মজুত করা হয়েছে স্তূপাকৃতি বালি। দূর থেকে মনে হতেই পারে কোন মরুভূমি। কয়েক মাস আগে ওই সরকারি জায়গা সংস্কারের নামে পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে এখন শুধুই বালি। গ্রামের বাসিন্দা সামিউল ইসলাম ওরফে চার্চিল নামে শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকা এক ব্যক্তি বালি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বুক ফুলিয়ে। গ্রামের ভিতর দিয়ে দিনরাত বালি বোঝায় ট্রাক্টর চলাচল করলেও প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর কথায়, সারা বছর এভাবেই নদীর বালি মজুত করে চলছে ব্যবসা। এর ফলে ভাঙছে গ্রামের রাস্তা। ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিবাদ করতে গেলেই রক্ত চক্ষুর সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করতে হচ্ছে।

Tripura Violence: সাম্প্রদায়িক হিংসা রুখতে পদক্ষেপ, ৬৮ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার আর্জি টুইটারকে

US Music Festival: রহস্যজনক ঘটনা ব়্যাপ সঙ্গীতের আসরে, গান শুনতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৮

Woman Crime: পুকুরের জলে নাবালিকার বিবস্ত্র দেহ, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের

চার্চিল বলেন, “ঝাড়খণ্ড থেকে বালি এনে আমি নিজের জায়গায় মজুত করেছি। সরকারি জায়গা দখল করে বালি ফেলিনি। নিজের ব্যবসার কাজের জন্য এই বালি মজুত করা হয়েছে। তবে এরাজ্যে কোন রাজস্ব দেওয়া হয়নি। প্রশাসন চাইলে রাজস্ব দেব”। তার সাফাই, বাঁশলৈ নদী থেকে প্রতিদিন গাড়িতে করে অবৈধ ভাবে বালি তুলে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পাঠিয়ে দিচ্ছে। কেউ দেখার নেই। এতো বালি মজুত অথচ প্রশাসনের হেলদোল নেই। তাছাড়া ঝাড়খণ্ড থেকে বালি নিয়ে এসে এরাজ্যে মজুত করার কোন কি ছাড়পত্র রয়েছে কি? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। এবিষয় নিয়ে মুরারই ১ নম্বর ব্লকের বিডিও প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।

আর তৃণমূল পরিচালিত পলশা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব কুমার রুইদাস বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মহেশপুর, আমরাপাড়া নদী থেকে বালি নিয়ে এসে কেউ কেউ ওখানে মজুত করে ব্যবসা করছে। তবে বাঁশলৈ নদী থেকে কোন রকম বালি উঠছে না”। তাঁর কথায় তাই বালির এই ব্যবসা অবৈধ নয়। 

Share this article
click me!