শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আগামিকাল ১৫ জন বিধায়ক নিয়ে তিনি নিহত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর নদিয়ার বাড়িতে যাবেন।
শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাড়িতে ১৫ জন বিধায়ক নিয়ে যাবেন। বৃহস্পতিবা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালতের তিন নম্বর গেটের কাছে বিজেপির ধর্নামঞ্চে উপস্থিত থেকে এমনটাই বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিমি জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ওপর তাঁর ভরসা নেই। তাই নিহতের ছাত্রের বাবা চাইলে তিনি আদালতেরও দ্বারস্থ হতে পারেন। শুভেন্দু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও নিশানা করেন। তাঁর কথায় এই ঘটনার দায় কিছুতেই শিক্ষামন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন না।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আগামিকাল ১৫ জন বিধায়ক নিয়ে তিনি নিহত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর নদিয়ার বাড়িতে যাবেন। পরিবার যদি চায় তাহলে বিজেপি আইনি লড়াইয়ের পথে তাদের সঙ্গ দেবে। তিনি আরও বলেন প্রয়োদনে মঙ্গলবার বিধানসভায় গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বোঝাপড়া করে নেবেন। তবে শিক্ষামন্ত্রী যেন সেদিন বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন তার কথাও বলেছেন। তবে ব্রাত্য বসু বুধবার নিহত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিহত পড়ুয়ার নাম করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, মৃত পড়ুয়ার নাম নেওয়ার জন্য রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন যেন নোটিশ পাঠায়। তিনি আরও বলেন, সুদেষ্ণা যদি শুক্রবারের মধ্যে ব্রাত্য বসুকে নোটিশ না পাঠায় তাহলে সকলেই ছাত্রের নাম বলব।
শুভেন্দু এদিন বলেন, তিনি রাজ্য পুলিশকে বিশ্বাস করেন না। যাদবপুরে মমতা বি-টিম হয়ে তিন থেকে চারটি সংগঠন কাজ করছে। যারা যাদবপুরে নো ভোট টু বিজেপি বলে প্রচার করেছিল তারাও মমতার হয়ে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার করতে হবে।
মমতা -অভিষেক নির্দেশ দিলে এক ঘণ্টার মধ্যে এসএফআই সাফ! যাদবপুর নিয়ে কড়া আক্রমণ কুণালের
অন্যদিকে এদিন কুণাল ঘোষ নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটে ব়্যাগিংএর প্রতিবাদে ধর্না অবস্থানে বসেন। সেই নিয়েই কুণাল বলেন শুভেন্দুর ব়্যাগিং নিয়ে কোনও কথা বলাই সাজে না। কারণ ব়্যাগিং বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ আর মধ্যপ্রদেশ সবথেকে এগিয়ে। শুভেন্দু সেখানে নাটক করছে বলেও অভিযোগ করেন কুণাল।
নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। হোস্টেলে আসার দিন রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। পরের দিন সকালে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। ব়্যাগিংএর কারণে স্বপ্নদীপকে হত্যা করা হয়েছে বলেও মনে করেছে তদন্তকারীরা। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০জনেরও বেশি আটক করা হয়েছে। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বা প্রাক্তন ছাত্র। তবে প্রাক্তন ছাত্ররা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আজ বিকেলে দিলীপের দিল্লি যাত্রা, অমিত শাহের বাসভবনে বৈঠক বিজেপি নেতার