বয়কট নিয়ে ক্ষুদ্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা, বললেন 'এটা সরকারে জন্য ক্ষতি'

রাজাশেখর মান্থার এজলাস এখনও বয়কট করে রয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। যা নিয়ে শুক্রবার রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক। তিনি বলেন এতে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

Web Desk - ANB | Published : Jan 20, 2023 9:38 AM IST

এজলাস বয়কটের ঘটনায় এবার সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। যদিও এর আগে এই বিষয় নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টেরই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। শুক্রবার রাজাশেখর মান্থা বলেন, 'এভাবে চলতে পারে না। এটা সরকারের জন্যই ক্ষতি। সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সমাজের জন্য এটা সুস্থ ব্যবস্থা নয়।'

বর্তমানে রাজাশেখর মান্থার আদালত বয়কট করেছেন রাজ্যের সরকারি আইনজীবীরা। তাঁর এজলাসে অনুপস্থিত থাকছেন সরকারি আইনজীবীরা। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজশেখর মান্থা বলেন, 'এখনও যেভাবে অনেক মামলায় সরকারি আইনজীবীরা গরহাজির থাকছেন তাতে ক্ষতি হচ্ছে। আইনজীবীদের অভাবে পুলিশ অফিসাররা হাজিরা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য বলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটাতো চলতে পারে না। এটা প্রশাসনের জন্য ক্ষতিকর। '

এপ্রসঙ্গে বলা দরকার, গত ৯ জানুয়ারি থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক রাজোশেখর মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইনজীবীদের একাংশ। পরে রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করার প্রস্তাব আনেন কলকাতা বারকাউন্সের সদস্যরা। আইনজীবীরা সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন। যার কারণে থমকে যায় একাধিক মামলা রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের দুই দলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে অবশ্য মান্থার এজলাস বয়কটের জন্য পোস্টার পড়ে। কলকাতা আদালতের এই ঘটনায় সরেজমিতে খতিয়ে দেখতে আসে দিল্লি থেকে আসেন বারকাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সদস্যরা। যা নিয়ে রাজ্যে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়।

রাজাশেখর মান্থার এজলাসের ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বারকাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সদস্যরা। অন্যদিকে বিশৃঙ্কলাকারী আইনজীবীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টে আরেক বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু তৃণমূলপন্থী আইনজীদের একাংশ এখনও রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করে রয়েছে। যা নিয়ে এদিন রীতমত উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি নিজেই। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি আইনজীবী বা তৃণমূলের কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কিছু জানান হয়নি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারকদের একাংশের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে দূরত্ব বাড়ছে তা আরও একবার ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। 

আরও পড়ুনঃ

নিয়োগে স্বচ্ছতাই তাঁর সরকারের অন্যতম পরিচয়, 'রোজগার মেলায়' ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর

'পরীক্ষা পে চর্চা' ২৭ জানুয়ারি, মোদীর উদ্যোগে চাপমুক্তির পথ দেখবে পরীক্ষার্থীরা

ভূমিধসে বিপর্যস্ত যোশীমঠে নতুন বিপর্যয় প্রবল বৃষ্টি আর তুষারপাত, দেখুন প্রকৃতির দুর্যোগের ছবিগুলি

Share this article
click me!