ইতিমধ্যেই বড়দিনে জনজোয়ারের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। এই পরিস্থিতিতে ভিড় সামলাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে প্রশাসনকে।
রাত পোহালেই নতুন বছর। বর্ষশেষের আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা দেশ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শনিবার থেকেই পথে নেমে পড়েছেন মানুষজন। মেট্রো শহরগুলিতে ইতিমধ্যেই ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, নয়ডা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু সব কটি বড় শহরেই কড়া ট্র্যাফিক আইন জারি করা হয়েছে। গত দু'বছরের তুলনায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় আরও বেশি জনতার ভিড় রাস্তায় দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি পরেছে উইকেন্ডে। ফলে ছুটির মরশুমে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা দেশ। ফলে রাস্তায় ঘাটে ভিড়ের চাপও অনেকটাই বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বড়দিনে জনজোয়ারের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। এই পরিস্থিতিতে ভিড় সামলাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে প্রশাসনকে।
গত ২৫ ডিসেম্বরই জনজোয়ারের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। এবার ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারিতেও বিপুল ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। বর্ষশেষের রাতে কোনও রকমের অপ্রিতীকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বড়দিনের মত বর্ষশেষেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সময় পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, শেক্সপিয়র সরণীর মতো জায়গাগুলিকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এদিন রাস্তায় প্রায় তিন হাজার পুলিশ মোতায়ন করা হবে। পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপীয়র সরণী এলাকায় মোট ১১টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। এই টাওয়ার গুলির মাধ্যমে গোটা এলাকার উপর বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হবে। পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলকে মোট ছয়টি সেক্টরে ভাগ করা হবে। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে ডিসি। নিরাপত্তার খাতিরে শহরের নানা প্রান্তে মোট ৯৭টিব পয়েন্টে নাকা চেকিং চালানো হবে। বিশেষ নজরদারি চালানো হবে গির্জা ও দ্রষ্টব্য স্থানগুলির আশেপাশে।
নতুন বছরের শুরুতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেবিষয় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। নজরদাড়ির আওতায় শহরের পানশালাগুলিও। বড়দিন ও নিউ ইয়ারকে কেন্দ্র করে বহু লোকের আগমন ঘটছে শহরে। বিশেষত এন্টারটেইনমেন্ট হাব ও হোটেলগুলিতে বাড়ছে জনসমাগম। এই সময়গুলোয় বাড়তে থাকে অপরাধমূলক কাজের প্রবনতাও। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই রাজারহাটের হোতেলে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়েছিল দেশ। ফলে উৎসবের আবহে যে কোনও অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। শহরের হোটেলগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। রাত্রি যাপনের জন্য হোটেলগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে ভিড়। এই পরিস্থিতিতে হোতেলে আগত অতিথিদের পরিচয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। অতিথিরা কোথা থেকে এসেছেন, কী কারণে এসেছেন, কতজন থাকছে তা সমস্ত রেজিস্টার মিলিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি যাচাই করা হবে পরিচয় পত্রও।
আরও পড়ুন -
বছরের শেষ দিনে আমিষে হাত পুড়ছে আমজনতার, আজকে শহরে কতয় বিকোচ্ছে মাংস?
বছরের শেষ দিনেও পড়ল না কনকনে ঠান্ডা, নতুন বছরে কি পড়বে জাঁকিয়ে শীত?