শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩টি ওয়ার্ড আসনে জোট করে লড়াইয়ে নামছে দুই পক্ষ। জানা গিয়েছে ২০১৫ সালের পুরভোটে জয় পাওয়া ওয়ার্ডগুলি এবারও সংশ্লিষ্ট দলের হাতেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জারি হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। শিলিগুড়ি সহ চার পুরসভায় নির্বাচন ২২শে জানুয়ারি। বিশেষ সূত্রে খবর পুরনিগমের নির্বাচনে (Municipal election) শিলিগুড়ি মডেলে (Siliguri model) ফিরে এসেছে বাম ও কংগ্রেস (Left-Congress)। সম্প্রতি দুই দলের জেলা নেতৃত্বের (District Level) আলোচনায় প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় শিলিগুড়ির (Siliguri) ৪৭টি ওয়ার্ডের (47 Ward) মধ্যে ২৩টি আসনে বামেরা লড়াই করবে, কংগ্রেস ১০টি আসনে লড়াই করবে। এছাড়া বাকি ১৪টি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে দুই দলের মধ্যে।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩টি ওয়ার্ড আসনে জোট করে লড়াইয়ে নামছে দুই পক্ষ। জানা গিয়েছে ২০১৫ সালের পুরভোটে জয় পাওয়া ওয়ার্ডগুলি এবারও সংশ্লিষ্ট দলের হাতেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। তিনটি নির্বাচনে শিলিগুড়িবাসী তৃণমূলকে পরাস্ত করেছে। অশোক ভট্টাচার্যকে সামনে রেখে জোট করে একসাথে যদি লড়াই করা যায়, তবে আবার শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করতে পারা যাবে।
শঙ্কর মালাকার এদিন আরও বলেন শিলিগুড়িবাসীর কাছে পুরপিতা হিসেবে অশোক ভট্টাচার্যের গ্রহন যোগ্যতা অনেক বেশী অন্যান্য দলের থেকে। ৯০শতাংশ আসনের সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। ১০ শতাংশ বাকি রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে তা সমাধান হয়ে যাবে। বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন কংগ্রেসের সাথে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে সে বিষয়ে কোন কথা আমি বলতে চাই না। যা বলবে জেলা নেতৃত্ব বলবে।
এরই মাঝে অশোক ভট্টাচার্যকে ফোন করে উজ্জীবিত করেন দলের বর্ষীয়ান নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন দলকে লড়তে হবে। ফের পথে নেমে জমি দখলের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বাম কংগ্রেসের আসন বন্টন প্রসঙ্গে বিশেষ কোনও কথা বলতে চাননি অশোক ভট্টাচার্য।
কলকাতা পুরসভার নির্বাচন মিটতেই বকেয়া পুরসভার নির্বাচন সেরে ফেলার দাবি উঠছিল। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক করে কমিশন। বৈঠক শেষে চার পুরসভার নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কমিশন জানায়, আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি, চন্দননগরে ৩৩টি, বিধাননগরে ৪১টি এবং আসানসোলের ১০৬ ওয়ার্ডে নির্বাচন।
কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে প্রতিটি বুথে সিসিটিভি লাগানো হবে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ে চৌঠা জানুয়ারি হবে পর্যালোচনা বৈঠক। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার শেষ দিন ছয়ই জানুয়ারি।