এদিকে, জলের অভাব মেটাতে সেখানে পিএইচই-র তরফে বসানো হয়েছে জলীয় ট্যাঙ্ক। সেখান থেকে গ্রামে গ্রামে জল সরবরাহের জন্য একাধিক জলের কানেকশন করে দেওয়া হয়েছে।
গ্রামে পানীয় (Drinking Water) জলের তীব্র সঙ্কট। পানীয় জলের দাবিতে একজোট হয়ে বিক্ষোভ (Agitation) দেখালেন বাসিন্দারা। জল যন্ত্রণার শিকার মালদহের (Malda) চাঁচলের দরিয়াপুর, সোনারায়, দিঘাবসতপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট (Water Crisis) দেখা দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বাসিন্দারা।
এদিকে, জলের অভাব মেটাতে সেখানে পিএইচই-র তরফে বসানো হয়েছে জলের ট্যাঙ্ক (Water Tank)। সেখান থেকে গ্রামে গ্রামে জল সরবরাহের জন্য একাধিক জলের কানেকশন করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামগুলিতে অধিকাংশের বাড়িতে কানেকশন করা হয়েছে। তবে পাইপের কানেকশন মিললেও, তাঁরা একফোঁটাও জল পাননি বলে অভিযোগ। ফলে জলের অভাবে বেজায় ক্ষুদ্ধ তাঁরা। গৃহস্থলীর কাজ থেকে শুরু করে পানীয় জল এখন সবের জন্যই ভরসা পুকুরের জল। গ্রামে দু-একটি চাপাকল থাকলেও বছরের বেশির ভাগ সময় তা বিকল হয়ে পড়ে থাকে।
আরও পড়ুন- রাজ্যে উপনির্বাচনে আরও বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা, বেড়ে হল ৯২ কোম্পানি
কাপড় কাচা, বাসন মাজা, রান্নার জন্য ভরসা পুকুরের জল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় পিএইচই-র তরফে গ্রামে গ্রামে পাইপের কানেকশন গেলেও হাতে গোনা দু-একটি বাড়ি ছাড়া পরিশ্রুত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে একাধিক গ্রাম। বিষয়টি বারবার পিএইচই দফতরে গিয়ে জানানোর পরও কোনও সুরাহা মেলেনি। এর ফলে খানিক বাধ্য হয়ে জল কষ্টে বৃহস্পতিবার গ্রামের টিউবওয়েলের সামনে কলসি-বালতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গ্রামে পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- অনন্য নজির, মমতার পাঠানো বিজয়ার মিষ্টি বিতরণ কংগ্রেসের গড়ে
দরিয়াপুরের এক বৃদ্ধা সন্ধ্যা দাসের অভিযোগ, পাইপ কানেকশন মিললেও এখনও জল পাননি। চাহিদা মেটাতে পুকুরের জলই ব্যবহার করতে হচ্ছে। পুকুরের ঘোলা জল ব্যবহার করলে শরীরে একাধিক অসুখ হতে পারে। আরেক বাসিন্দা সুকুমার সাহার অভিযোগ, এলাকার মেহের আলি মোড়ে পিএইচই-র তরফে জলের ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। গ্রামে গ্রামে পিএইচইর সেই পাইপ গেলেও এখনও পর্যন্ত তাঁরা সেই জল পাচ্ছেন না। কারও বাড়িতে জল গেলেও তা ঘোলা। যা ব্যবহারে অনুপযুক্ত। পুকুরের জল বা গ্রামের টিউবওয়েলের জলের উপরই তাঁদের ভরসা করতে হচ্ছে। যদিও পঞ্চায়েতের সেই টিউবওয়েলগুলো বছরের বেশিরভাগটা সময় অকেজো হয়ে পড়ে থাকে।
আরও পড়ুন- চলতি সপ্তাহেই রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে বর্ষা, জানাল আবহাওয়া দফতর
এই ঘটনায় পিএইচই দফতরকেই দোষারোপ করেছেন চাঁচলের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, "এলাকায় গেলেই প্রচুর মানুষ পানীয় জলের বিষয় নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেন। গ্রামে পাইপ কানেকশন চলে গেলেও অধিকাংশই বিশুদ্ধ জল পাচ্ছে না। চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। সেখানকার মানুষকে পুকুরের জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বিষয়টি আমি পিএইচই দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাঁদের গাফিলতিতেই জল কষ্টে ভুগছেন গ্রামের বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীকেও জানাব।"
যদিও চাঁচলে পিএইচই দফতরের ইঞ্জিনিয়ারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অফিসে থাকা এক কর্মী লক্ষ্ণী রাম মাহাত বলেন, "বিষয়টি আমার জানা নেই। ইঞ্জিনিয়ার এলে সব ঘটনা জানানো হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।"