মালবাজারের হড়পাবান নিয়েই প্রশাসনকেই দুষলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন যেভাবে মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক ছিল না। মাল নদী শুকনো নদী। তাই প্রশাসন ধরেই নিয়েছিল নদীতে জল আসবে না। কোনও কিছু চিন্তাভাবনা না করেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
মালবাজারের হড়পাবান নিয়েই প্রশাসনকেই দুষলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন যেভাবে মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক ছিল না। মাল নদী শুকনো নদী। তাই প্রশাসন ধরেই নিয়েছিল নদীতে জল আসবে না। কোনও কিছু চিন্তাভাবনা না করেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন শুভেন্দু। কিন্তু গতকয়েক দিন ধরেই পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। আর সেই কারণেই মাল নদীতে হড়পা বান নেমে আসে। শুভেন্দু বলেন এটা নিছকই দুর্ঘটনা নয়। 'মা দুর্গার ভক্তদের মেরে ফেলা হয়েছে।' এমনটাই দাবি করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করেও উত্তরবঙ্গ সংবাদপত্রের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগে থেকেই এই সংবাদপত্রে মাল নদীতে ভাঙনের আশঙ্কা করা হয়েছিল। একটা নয় পরপর তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ১ অক্টোবর। সেখানেও মাল নদীর ঘাট বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। আর সেই প্রতিবেদনেই একটি হড়পা বানে একটি ট্রাক ডুবে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। সেইসব কথা তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন বিসর্জনের নামে মরণ ফাঁদ পাতা হয়েছিল।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী জলপাইগুড়ির হড়পা বানে নিহতদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার আবেদন জানান। আহতদের এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি কার্নিভালের অনুষ্ঠান বন্ধ করে জলপাইগুড়ি গিয়ে নিহতদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে দেখার করার আবেদনও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা এই ঘটনায় হাসপাতাল আর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাপে পড়ে তা আবার নতুন করে শুরু হয়।
অন্যদিকে জলপাইগুড়ির মালবাজারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন, 'এটা কি নিছকই কোন দুর্ঘটনা,নাকি পরিকল্পিত খুন?বালি ও পাথর মাফিয়াদের সাহায্য করতে মালবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম বাঁধ।যার কারণেই মৃত্যু হলে এতগুলো প্রাণ?সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর গ্রেফতার ও মালবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারির দাবি জানাচ্ছি'। বিজেপি নেতা মাল নদীর গতিপথ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এই ঘটনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন।
বিজয় দশমীর দিনে সন্ধ্যেবেলা মাল নদীতে হড়পা বানে তলিয়ে যায় বহু মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আহতের সংখ্যা ৪০ । আহতদের জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।