আচমকা পরিদর্শনে সাংসদ মিমি, খবর পেয়েই কার্পেট পাতা হল হাসপাতালে

  • বারুইপুর হাসপাতাল পরিদর্শনে মিমি চক্রবর্তী
  • আচমকাই পরিদর্শনে যান যাদবপুরের সাংসদ
  • সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন মিমি
     

debamoy ghosh | Published : Sep 13, 2019 1:30 PM IST

তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করার সময় অনেকেই নানা কটাক্ষ করেছিলেন। সাংসদ হওয়ার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলের শিকার হতে হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকে। যাদবপুরের সাংসদ অবশ্য কথায় বেশি জবাব না দিয়ে কাজেই সমালোচকদের জবাব দিতে চাইছেন। সাংসদ হিসেবে বেশ কয়েক মাস কাটিয়ে দেওয়ার পর দলীয় নেতাদের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে সাংসদ হিসেবে জোরালো পদক্ষেপ করতে শুরু করলেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার আচমকাই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল সহ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিদর্শনে চলে যান সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। হাসপাতালে গিয়ে রোগী থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য কর্মী, সবার সঙ্গেই কথা বলে সুবিধে অসুবিধে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সবপক্ষের সমস্যার কথা জেনে নিয়ে দ্রুত তা সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ। 

আরও পড়ুন- প্রকাশ্যেই কথোপকথন, শুভশ্রী-মিমি সম্পর্কের বরফ কি তবে গলার পথে

আরও পড়ুন- দিদিকে বলো-র প্রচার, ভিড়ের ভয়ে বেরোতেই পারলেন না নুসরত, দেখুন ভিডিও

বারুইপুর রবীন্দ্র ভবনে  জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বর্ধিত সভায় যোগদান করার পরে আচমকাই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান সাংসদ। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ- সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী। যদিও, সাংসদ আসার খবর জানতে পেরেই তড়িঘড়ি বারুইপুর হাসপাতালের সামনে কুল্পি রোডের বেহাল রাস্তার মেরামতের জন্য গর্ততে বালি ফেলে তা বোজানো হয়। এমনকী, হাসপাতালের ভিতরে রীতিমতো পরিস্কার করে কার্পেট পেতে দেওয়া হয়। 

হাসপাতালে ঢুকেই মিমি চক্রবর্তী প্রথমে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা শোনেন।  চিকিৎসকরাও বেশ কিছু অভিযোগের কথা জানান সাংসদকে।  সেখান থেকে হাসপাতালের মহিলা বিভাগে গিয়ে আলাদা করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। তাদের সমস্যা শোনেন। এর পর হাসপাতাল সুপারের ঘরে গিয়ে হাসপাতালের কর্মী, নার্স,অতিরক্ত সুপারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। 

হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবার দুরাবস্থার কথা শুনে  ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ। মিমি বলেন, 'হাসপাতালে আসলাম বলে অনেক সমস্যার কথাই জানতে পারলাম। খুব শিগগিরই কাজ শুরু শুরু হবে। চিকিৎসকের অভাব আছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব মেটানোর চেষ্টা করব। হাসপাতালের চিকিৎসকরা চেষ্টা করেন জীবন বাঁচানোর। আরও বেশি চিকিৎসক পেলে সমস্যার সমাধান হবে।'
 

Share this article
click me!