রাজ্যপাল হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১-এ সই করতে না চাওয়ায় সেখানে নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এদিকে এনিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়।
২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে (Bally Municipality) যুক্ত করা হয়েছিল হাওড়া পুরনিগমের (Howrah Municipal Corporation) সঙ্গে। কিন্তু, ফের বালিকে হাওড়া থেকে বের করতে চায় রাজ্য সরকার (State Government)। আর তা নিয়ে হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১ শীতকালীন অধিবেশনে (winter session) বিধানসভায় পাশ করানো হয়েছে। কিন্তু, সেই বিলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) সই করেননি। সেই কারণেই আটকে গিয়েছে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ। এদিকে রাজ্যপাল হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১-এ সই করতে না চাওয়ায় সেখানে নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এদিকে এনিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee)।
বিলে সই না করা প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, "আমরা এর গুরুত্ব বুঝেই বিধানসভায় হাওড়া এবং বালি নিযুক্তি করণের প্রস্তাবে বিল নিয়ে এসেছি। বিধানসভায় সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, এবং নিয়মমাফিক সেটা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সেটা যদি পিছিয়ে যায় তাহলে তা দুঃখের। আমার ধারণা রাজ্যপাল বিধানসভার গরিমা ও ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে সই করবেন। হাওড়া আর কলকাতার ভোটের কোনও বাধা থাকবে না বলে আমি আশাবাদী।"
আরও পড়ুন- সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে চান রাজ্যপাল, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হল না আজ
এরপর রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "মাঝেমধ্যে রাজ্যপালের বক্তব্য শুনে গুলিয়ে ফেলি এটা দিলীপ ঘোষ বলছেন, না সুকান্ত বাবু বলছেন, না রাজ্যপাল মহাদয় বলছেন। আমাদের কিছু বলার নেই আমরা যুক্তি দিয়ে বলেছি কি কারণে দফায় দফায় ভোট হওয়া উচিত। আমরা যদি ইতিহাস ঘাঁটি তাহলে দেখব কলকাতা পুরভোট আলাদা দফায় হয়।"
উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৫ ওয়ার্ড বিশিষ্ট বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দিকেই ফের বালিকে হাওড়া থেকে ভাগ করা হবে এমন একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১ পাশ করানো হয়। কিন্তু, সেই বিলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল সই না করায় হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
আরও পড়ুন- মিহিদানা খেয়ে অসুস্থ শিশু সহ ৪০-এর বেশি জন, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা
অন্যদিকে, আজ ত্রিপুরার হিংসা (Tripura Violence) নিয়ে শুনানিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত পুরসভা নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তৃণমূলের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, পুরসভা নির্বাচনের (Tripura civic election)আগে ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এই অবস্থায় ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। যদিও আজ সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি বিক্রমনাথের দুই সদস্যের বেঞ্চ। পাশাপাশি ত্রিপুরায় সুরক্ষা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন- নিখোঁজ ছিলেন রাত থেকে, সকালেই মাঠ থেকে উদ্ধার যুবক-যুবতীর রক্তাক্ত দেহ
ত্রিপুরার পুরভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে। সেখানে বিজেপি যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে তাতে নির্বাচন করাটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। শুধু রায় দিলেই হবে না দেখতে হবে বিরোধীরা যেন নিরাপত্তা পায়, মানুষ যেন নিজের ভোট দিতে পারেন।"