সাত তারিখ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা চন্দ্রযান- ২ এর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে বসে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চলেছে বর্ধমান শহরের বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্রী ইউসরা আলম। ইসরোর কন্ট্রোল রুমে বসে চন্দ্রযানের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার মুহূর্তটি লাইভ স্ক্রিনিংয়ে দেখতে পাবে ইউসারা। সারা দেশ থেকে মোট ষাট জন ছাত্রছাত্রী এই সুযোগ পেয়েছে।
বর্ধমানের বেলগ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া নবম শ্রেণির ছাত্রী ইউসারা। গোটা দেশ জুড়েই অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাই স্পেস ক্যুইজের আয়োজন করেছিল ইসরো। স্কুলের তরফে সেকথা জানতে পেরে তাতে অংশ নিয়েছিল ইউসারা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সে এবং আরও এক পড়ুয়া প্রথম স্থান দখল করে। এই দু' জনকেই বেঙ্গালুরুতে ইসরোর কন্ট্রোল সেন্টারে বসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে চন্দ্রযানের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার মুহূর্ত দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশ থেকে সুযোগ পেয়েছে মোট ষাটজন ছাত্রছাত্রী।
আরও পড়ুন- চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে 'ল্যান্ডার বিক্রম', সফল হল দ্বিতীয় ডি-অরবাইটিং
কিছুদিন আগেই ই- মেলের মারফত ইউসারাকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রথমে যা দেখে বিশ্বাসই হচ্ছিল ওই কিশোরী এবং তার পরিবারের। কিন্তু এখন নিজেদের মেয়েকে নিয়ে গর্বিত ইউসারার পরিবার। খুশি ইউসারার স্কুল এবং সহপাঠীরাও। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ভোররাতে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে চন্দ্রযান। তাই ইসরোর তরফে আগামী ৬ তারিখ দুপুরের মধ্যে ইসরোর কন্ট্রোল সেন্টারে একজন অভিভাবককে নিয়ে পৌঁছতে বলা হয়েছে ইউসারাকে। যাতায়াত-সহ সমস্ত খরচই ইসরো থেকে বহন করা হবে।
এই সুযোগ পেয়ে স্বভাবতই খুশি ইউসারা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকার উত্তেজনাও রয়েছে। ইউসারার কথায়, 'ইসরোর এই ক্যুইজ নিয়ে আমি এবং আমার বন্ধু-বান্ধবরা খুবই আগ্রহী ছিলাম। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য নির্বাচিত হওয়ার ই-মেল পেয়ে আমি শিহরিত। এটা আমার কাছে একটা বিরাট সুযোগ। আমার স্কুল এবং বন্ধুবান্ধবরাও দারুণ খুশি।'