সরকারি স্কুলে দ্বিগুণ ভর্তি ফি আদায়ের পর্দা ফাঁস, কাঠগড়ায় প্রধান শিক্ষক

  • সরকারি স্কুলে  দ্বিগুণ ভর্তি ফি আদায়ে  তুলকালাম 
  •  অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
  •  স্কুল পড়ুয়া-অভিভাবকদের অবস্থান-বিক্ষোভ
  • 'চূড়ান্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন', দাবিতে -অভিভাবকরা

Asianet News Bangla | Published : Jul 3, 2021 12:20 PM IST

সরকারি স্কুলে বসেই প্রধান শিক্ষকের নিয়মবহির্ভূতভাবে দ্বিগুণ ভর্তি ফি আদায়  কীর্তি ফাঁস। পড়ুয়া-অভিভাবকদের অবস্থান,বিক্ষোভে তুলকালাম।দিনে দুপুরে সরকারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট ভর্তি ফি এর থেকে দ্বিগুণ টাকা ছাত্র দের কাছ থেকে ভর্তি ফি আদায় করার কান্ড ধরা পড়তেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় শনিবার মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম এলাকায়। ধরা পড়ে যেতেই ছাত্র থেকে অভিভাবক সকলে ঘেরাও করে ওই প্রধান শিক্ষক আবুল বাশারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে বসেছে ।

আরও পড়ুন, রাজ্যে চিঠি পাঠাল কমিশন, দ্রুত উপনির্বাচন চেয়ে পাল্টা চিঠি মমতার সরকারের


 জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ফি বাবদ সরকারের তরফে ২৪০ টাকা ধার্য করা হয়।সেই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাড়তি টাকা রোজগারের জন্য একেবারে দ্বিগুণ টাকা ৫৬০ করে আদায় করা হয় স্কুল ছাত্র দের কাছ থেকে বলে অভিযোগ। প্রথমে কিছু বোঝা না গেলেও, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য সরকারি বিদ্যালয়ের কাছ থেকে পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানার পরই ধরা পড়ে যায় ওই প্রধান শিক্ষকের জারিজুরি ছাত্রদের সামনে।আর এতেই প্রধান শিক্ষক আবুল সাহেবের এমন কান্ডে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার স্থানীয় অভিভাবক থেকে শুরু করে ছাত্র সকলেই। এখানেই শেষ নয়, ছাত্রদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আরোও এই বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বারংবার জানানো হলেও তিনি কোন ভাবেই কর্ণপাত করেননি, উল্টে ছাত্রদেরকে ধমকাতে থাকেন। এরপর এই পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে।সকল ছাত্র একযোগে প্রধান শিক্ষকের এইভাবে সরকারি স্কুলের নাম করে বাড়তি বেআইনি টাকা তোলার প্রতিবাদে রুখে দাঁড়াই। এই যাবতীয় বিষয়ের মূল অভিযুক্ত ওই করিৎকর্মা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যান। 

আরও পড়ুন, 'চাবকে ওর মানসিক রোগ ছাড়ানোর ক্ষমতা আমাদের আছে', দেবাঞ্জন ইস্যুতে বিস্ফোরক অধীর

আজব যুক্তি খাড়া করে বলেন,'আমি কোনভাবেই এর সাথে যুক্ত নয় হয়তো ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশেই এই বাড়তি টাকা নেয়া হয়ে থাকতে পারে। আমি কিছু জানিনা ।' পাল্টা স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকারি আধিকারিক পুরো বিষয়টি জানার পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।' স্থানীয় অভিভাবকেরা বলেন,'একদিকে মানুষের হাতে করোনার আবহে কাজ নেই। ফলে রুজি-রোজগার হারিয়ে অনেকেই বাড়িতে বেকার বসে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক যেভাবে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের পকেটস্থ করছেন তাতে তার চূড়ান্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন ।'

Share this article
click me!