HDU Closed: মহকুমা হাসপাতালে বন্ধ এইচডিইউ, চরম বিপাকে রোগীরা

রোগীর পরিজনদের অভিযোগ এই হাসপাতালে কোন আইসিসিইউ নেই। রোগীরা বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাদের অবস্থা জটিল হলে এইচডিইউতে রেফার করেন চিকিৎসকেরা।
 

Parna Sengupta | Published : Dec 24, 2021 2:19 AM IST

বেহাল রাজ্যের জেলাগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবা (Health Service) পরিকাঠামো। তেমনই এক ঘটনার ছবি সামনে এল। দীর্ঘ সাত-আট দিন ধরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ( Bangaon Sub-Divisional Hospital) বন্ধ রয়েছে হাই এফিশিয়েন্সি ইউনিট (HDU)। ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। হাসপাতালে এসে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে কলকাতা নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে রোগীর পরিজনেরা।

 বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভর করে বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা সহ এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ। 

রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ এই হাসপাতালে কোন আইসিসিইউ নেই। 
রোগীরা বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাদের অবস্থা জটিল হলে এইচডিইউতে রেফার করেন চিকিৎসকেরা।
 
বছর ছয়েক আগে এইচডি বিভাগের উদ্বোধন হয়েছিল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।
 ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে ও রাজ্যের মধ্যে বিশেষ স্থান অর্জন করে এই এইচডিউই। বহু ক্রিটিক্যাল রোগী সুস্থ করে বাড়ি ফেরানো হয়েছে এখান থেকে। ২৪ ঘন্টা নার্স এবং চিকিৎসক থাকেন এই বিভাগে।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই ইউনিটে মোট ৬জন চিকিৎসক রয়েছে। তার মধ্যে তিনজন উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে চলে গিয়েছেন। একজন চিকিৎসকের সম্প্রতি ছেলে মারা গিয়েছে। তিনি আসছেন না। ফলে দুজন চিকিৎসক নিয়ে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কঠিন সমস্যার মুখে পড়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। 

সম্প্রতি প্রকাশিত নীতি আয়োগের এক রিপোর্টে মূল্যায়ন করা হয়েছে দেশের জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামোকে। পরিকাঠামো ও আউটপুটের ওপর ভিত্তি করে ১০টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ৭০৭টি জেলা হাসপাতাল এই মূল্যায়নে অংশ নিয়েছিল। ২০১৭-১৮ সালের ডেটা এই মূল্যায়নের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। মূল্যায়নের মাধ্যমে হাসপাতালগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ছোট হাসপাতাল, যার শয্যা সংখ্যা ২০০ বা তারও কম। মাঝারি হাসপাতাল- যার শয্যা সংখ্যা ২০০- বেশি ৩০০ কম। বড় হাসপাতাল- শয্যা সংখ্যা ৩০০-রও বেশি। ১০ টি সূচকের মাধ্যমেই জেলা হাসপাতাল গুলির কাজের মূল্যায়ন করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে হাসপাতালের নথিও। 

রিপোর্টে বলা ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মাত্র ৭৫টি হাসপাতাল - শয্যা, চিকিৎসা প্যারামেডিক্যাল কর্মী,  স্বাস্থ্য পরিষেবা, রোগ নির্ণয় বা টেস্টিং পরিষেবা থেরে শুরু অস্ত্রোপচারর সংখ্যা - সব দিক থেকে সেরা হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে পেরেছে। 

Share this article
click me!